ইসরাইলি হামলায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত
প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ইসরাইলি বাহিনীর বিমান অভিযানে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার এবং সামরিক শাখা উপ-প্রধান মারওয়ান ইসা নিহত হয়েছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিয়ষক উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান সোমবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তথ্যসূত্র : বিবিসি
এদিকে, ইসরাইলি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনী অভিযান চালানোর সময় সেই শিবিরের কাছাকাছি একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে নিহত হন মারওয়ান ইসা।
সোমবারের ব্রিফিংয়ে জ্যাক সালিভান জানান, মারওয়ানের মতো হামাসের অন্যান্য সামরিক কমান্ডাররাও গাজায় সুড়ঙ্গের নিচে আত্মগোপন করে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, হামাসের যেসব শীর্ষ নেতা আত্মগোপন করে আছেন, (মারওয়ান ইসার মতো) তাদের জন্যও ন্যায়বিচার অপেক্ষা করছে।
তবে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হতাহত হওয়ার উচ্চহারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সালিভান। সেই সঙ্গে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফাহতে সামরিক অভিযান চালানো থেকে ইসরাইলি বাহিনীকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জেরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে হামাসের যত সেনা ও কমান্ডার নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে পদ-পদবির হিসেবে মারওয়ান ইসা সর্বজ্যেষ্ঠ কমান্ডার ছিলেন মারওয়ান।
সালিভান বলেন, 'আমাদের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে, তবে অভিযানের নামে (ইসরাইলি বাহিনীর) এমন কিছু করা উচিত হবে না- যা বেসামরিকদের হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে পারে।
গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা 'ইজেদাইন আল-কাসাম ব্রিগেডস'র উপ-প্রধান ছিলেন তিনি, সেই সঙ্গে ইসরাইলের 'মোস্ট-ওয়ান্টেড' ব্যক্তি। হামাসের এই নেতা ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও (ইইউ) কালো তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখন্ডে যে আকস্মিক হামলা চালিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা, তাতে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা ছিল তার।
১৯৮৭ সালে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন 'ইন্তিফাদা'র সময় ইসরাইলে গ্রেপ্তার হয়ে পাঁচ বছর কারাগারে ছিলেন মারওয়ান। পরে সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগে ১৯৯৭ সালে গাজায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) সরকারের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ২০০০ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন তিনি।