মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নংকেন গণতন্ত্র সম্মেলনে যোগ দিতে যখন দক্ষিণ কোরিয়ায় সফর করছেন, তখন তাকে 'স্বাগত' জানিয়ে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। বিস্নংকেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চে ওঠার কিছু সময় আগেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কেরিয়া। চলতি বছর গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া পূর্ব সাগরের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
গত দুই মাসের মধ্যে সোমবার প্রথমবারের মতো সমুদ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া। দেশটি এমন এক সময়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল যখন গণতন্ত্রের অগ্রগতির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিতে সিউল সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নংকেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের দক্ষিণে একটি অঞ্চল থেকে একাধিক স্বল্পপালস্নার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। নিক্ষেপের পর সেসব ক্ষেপণাস্ত্র কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব দিকে গিয়ে পড়ে।
অবশ্য পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী আরও বিশদ কোনো তথ্য প্রদান করেনি। তবে তারা বলেছে, আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের তথ্য শেয়ার করছে তারা।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়টি জাপানের উপকূলরক্ষীরাও শনাক্ত করে। পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা জানান। জাপানের কোস্টগার্ড বলছে, উৎক্ষেপণকৃত ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে হয়েছে। জাপান পরে জানায়, তারা উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টিও শনাক্ত করেছে এবং উভয় ক্ষেপণাস্ত্রই দেশটির 'এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন' এলাকার বাইরে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘের প্রস্তাবের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'উত্তর কোরিয়ার এই ধরনের ধারাবাহিক পদক্ষেপ আমাদের অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।'
পিয়ংইয়ং এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি একটি কৌশলগত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া।