বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রেসিডেন্ট ভোট শুরু

পুতিন বিশ্বকে দেখাতে চাইছেন রাশিয়ার সবাই তার সঙ্গে

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও তিন প্রার্থী, তারা পুতিনের সমালোচনা করেননি
যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন

রাশিয়ায় শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই ভোটগ্রহণ চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত। এই তিন দিনের মধ্যে রাশিয়ানরা ছয় বছরের জন্য তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবেন। সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবার হচ্ছে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। এর আগে এই প্রযুক্তি আগের স্থানীয় সরকারের ভোটের সময় পরীক্ষা করা হয়েছিল। তিন দিনের ভোটে প্রথমবারের মতো দোনবাস ও নভোরোশিয়ার বাসিন্দারা অংশ নিচ্ছেন। তথ্যসূত্র : এএফপি, ডিডাবিস্নউ নিউজ

সবাই জানেন পঞ্চমবার ক্ষমতায় আসছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন। গত ২৫ বছর ধরে রাশিয়ায় ক্ষমতা ধরে রেখেছেন তিনি। এ বছর পঞ্চমবার প্রেসিডেন্টের আসনে বসবেন পুতিন। অর্থাৎ, ২০৩০ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। যারা তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, তারাও কার্যত পুতিনের তেমন কোনো সমালোচনা করছেন না। অনেকেই বলছেন, এই নির্বাচন আসলে লোক দেখানো।

কিছুদিন আগেই রাশিয়ার জেলে মৃতু্য হয়েছে অ্যালেক্সি নাভালনির। অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে তাকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল বলেও অভিযোগ ছিল। জার্মানিতে তার চিকিৎসা হয়েছিল।

পুতিনের আরেক সমালোচক বরিস নাদেঝদিন। কিন্তু রাশিয়ার আদালত তাকে ভোটে দাঁড়াতেই দেয়নি। সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন বরিস। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টও তাকে ভোটে দাঁড়ানোর অনুমতি দেয়নি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বরিস দাঁড়ালে পুতিনকে লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারতেন।

পুতিনের বিরোধী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন ৭৫ বছরের কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলাই খারিতোনভ। সাধারণত, দ্বিতীয় স্থানে থাকেন তিনি। তবে পুতিনের সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান থাকে বিরাট। স্থানীয় কিছু বিষয়ে পুতিনের বিরোধিতা করলেও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে ৪০ বছরের ভস্নাদিস্স্নাভ দাভানকোভ পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বিশেষ কোনো মতপার্থক্য নেই। শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে তিনি ভোটের প্রচারে কথা বলেছেন।

সমীক্ষা বলছে, নিকোলাই এবং ভস্নাদিস্স্নাভ যৌথভাবে ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। বাকি পুরো ভোটই পাবেন পুতিন। রাজনৈতিক মহলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এই লোক দেখানো নির্বাচনের আদৌ কি কোনো প্রয়োজন ছিল? বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এই ভোট থেকে রাশিয়ার ভেতরে এবং দেশের বাইরে দু'টি বিষয় প্রমাণ করতে চাইছেন পুতিন। দেশের ভেতর তিনি দেখাতে চাইছেন, রাশিয়ার অধিকাংশ মানুষ তার সঙ্গে আছেন। অর্থাৎ, প্রেসিডেন্টকে নিয়ে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ।

দেশের বাইরে পুতিন এই ভোটের মাধ্যমে বোঝাতে চাইছেন, তার নেওয়া সব সিদ্ধান্ত দেশের মানুষ সমর্থন করছেন। অর্থাৎ, ইউক্রেন অভিযান নিয়ে দেশের ভেতর কোনো বিরোধিতা নেই। বহির্বিশ্বে এই বার্তাটি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল বলেই মনে করেন পুতিন বিশেষজ্ঞরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে