'স্টেট অফ দি ইউনিয়ন' ভাষণ
ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের পার্থক্য তুলে ধরলেন বাইডেন
প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন ও গৃহযুদ্ধের সময়ের পর আমেরিকায় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এমন হুমকির মুখে আর পড়েনি
প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই বছরে দুই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মতো ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যথেষ্ট সাফল্যের দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও জনমত সমীক্ষায় তিনি ভালো ফল করতে পারছেন না। বয়সের কারণে তিনি আরও চার বছর ক্ষমতায় থাকার উপযুক্ত কিনা সেই বিতর্ক তার পুনর্র্নিবাচনের ওপর কালো ছায়া ফেলছে। অন্যদিকে, মামলা-মোকদ্দমা ও বিতর্কের ধাক্কা সামলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নের পথে এগিয়ে চলেছেন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি
এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের বার্ষিক 'স্টেট অফ দি ইউনিয়ন' ভাষণে নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বাইডেন। ভোটারদের মন জয় করতে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য লড়াই করছেন, তার আরও প্রমাণ হিসেবে বাইডেন ধনী ও বড় কোম্পানির ওপর করের হার বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে আমেরিকার স্বল্প আয়ের মানুষের করের বোঝা কমাতে চলেছেন তিনি। তবে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের বর্তমানে অচলাবস্থার কারণে সেই সব প্রস্তাব আদৌ অনুমোদন পাবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে।
ইতিবাচক পদক্ষেপের পাশাপাশি বাইডেন তার ভাষণে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের জোরালো সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন ও গৃহযুদ্ধের সময়ের পর আমেরিকায় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এমন হুমকির মুখে আর পড়েনি। সরাসরি ট্রাম্পের নাম মুখে না এনেও মোট ১৩ বার তিনি 'আমার পূর্বসূরি' হিসেবে তার কথা উলেস্নখ করে রাশিয়ার কাছে নতি স্বীকার করার অভিযোগও করেন। সামরিক জোট ন্যাটো সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বাইডেন।
ট্রাম্পের জোরালো প্রভাবের কারণে রিপাবলিকান পার্টির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কটু মন্তব্য করেন বাইডেন। বিশেষ করে মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ কমাতে তার প্রশাসনের প্রস্তাবে বাধা দিয়ে তারা দেশের ক্ষতি করে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। সেই বিল পাস হলে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরও জোরালো করা সম্ভব বলে বাইডেন দাবি করেছেন। সংঘাতের বদলে সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্তের সমস্যা সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
ডেমোক্রেট পার্টির সব সমর্থকদের মন জয় করতেও বাইডেন তার ভাষণে কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের ক্ষেত্রে ইসরাইলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের অবিচল সমর্থনের কারণে তাদের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তা কিছুটা দূর করতে বাইডেন গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরি করে সেখানে আরও ত্রাণ সাহায্য বণ্টনের অঙ্গীকার করেন।