আবারও 'সুখের লাগি' বাগদান সারলেন মিডিয়া মুঘল ও ধনকুবের রুপার্ট মারডক। জীবনের ৯২ বসন্ত পার করে গত বছর পঞ্চমবারের মতো বাগদানের খবর দিয়েছিলেন তিনি; বলেছিলেন, 'এটাই শেষ প্রেম'। কিন্তু তার হৃদয় আবারও পাণি তৃষ্ণায় কাতর
হয়ে উঠেছে।
এটি তার ষষ্ঠ বাগদান। পাত্রীর নাম এলেনা জুকোভা। ৬৭ বছর বয়সি এই নারী একজন অবসরপ্রাপ্ত রুশ
আণবিক জীববিজ্ঞানী।
মারডক তার রুশ বান্ধবী এলেনা জুকোভার সঙ্গে কয়েক মাস ধরে ডেটিং করছেন বলে জানা গেছে।
বাগদানের পর বিয়ের অনুষ্ঠানটি চলতি বছরের জুনে ক্যালিফোর্নিয়ায় মারডকের 'মোরাগা ভিনেয়ার্ড অ্যান্ড এস্টেটে' অনুষ্ঠিত হতে পারে। সর্বশেষ বাগদানটি মারডকের ষষ্ঠ বাগদান হলেও বিয়েটি হবে মারডকের পঞ্চম বিয়ে।
এর আগে গত বছরের এপ্রিলে আকস্মিকভাবে নিজেদের বাগদান বাতিল করেন রুপার্ট মারডক ও অ্যান লেসলি স্মিথ। সে বছর গ্রীষ্মের শেষেই আমেরিকায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে সাবেক ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বাগদান বাতিলের পর থেকেই রুশ বিজ্ঞানী এলেনা জুকোভার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত মারডক ডেট করছিলেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
নিজের সাবেক স্ত্রী চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংয়ের আয়োজিত একটি পার্টিতে জুকোভার সঙ্গে মারডকের দেখা হয়েছিল বলে জানা গেছে। মারডকের অন্য সাবেক স্ত্রীরা হলেন অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আনা মান, ওয়েন্ডি ডেং এবং মার্কিন মডেল ও অভিনেত্রী জেরি হল।
অন্যদিকে এলেনা জুকোভা এর আগে রাশিয়ান বিলিয়নেয়ার আলেকজান্ডার ঝুকভকে বিয়ে করেছিলেন। আর তাদের মেয়ে দাশা ঝুকোভা একজন শিল্পপতি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুবই সক্রিয়। সেই সঙ্গে দাশার আরও একটি পরিচয় হলো, রাশিয়ার ধনকুবের এবং ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব 'চেলসা এফসি'র সাবেক মালিক রোমান আব্রহামোভিচের স্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে বিয়ে হয়েছিল তাদের, এরপর ২০১৭ সালে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
উলেস্নখ্য, রুপার্ট মারডক গত বছর 'ফক্স অ্যান্ড নিউজ করপোরেশন'র চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসই প্রথম তার বাগদানের এই খবরটি সামনে আনে।
রুপার্ট মারডক ১৯৫০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ায় তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৯ সালে যুক্তরাজ্যে 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' এবং 'দ্য সান' সংবাদপত্র কিনে নেন। পরে তিনি নিউইয়র্ক পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন প্রকাশনাও কিনে নেন।
এরপর ১৯৯৬ সালে তিনি 'ফক্স নিউজ' চালু করেন। এটি এখন এমন একটি টিভি নিউজ চ্যানেল, যা আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি দেখা হয়। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত 'নিউজ কর্প'-এর মাধ্যমে মারডক শত শত স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া আউটলেটের মালিক হয়েছেন। তিনি ও তার পরিবার এখন বিশ্বের ১২০টি সংবাদমাধ্যমের মালিক।
তথ্যসূত্র : বিবিসি