দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। একই অভিযোগে জিম্বাবুয়ের ফার্স্ট লেডি অক্সিলিয়া মানাঙ্গাগওয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট কনস্টান্টিনো চিওয়েঙ্গা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওপাহ মুচিঙ্গুরসহ আরও ১০ ব্যক্তি ও তিনটি ব্যবসার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা আমেরিকায় তাদের সম্পদ ভোগদখল করতে পারবেন না। আমেরিকার কোনো ব্যাংকে থাকা অর্থ তুলতে পারবেন না। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে কোনো ব্যবসা ও লেনদেন করতে পারবে না।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সুশীল সমাজকে লক্ষ্যবস্তু করা এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যা মৌলিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং সরকারদলীয় নেতারাসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত লাভের জন্য জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করেছেন।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছি। এই শোষণ ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিসহ অন্যদের জবাবদিহি করার প্রচেষ্টার দিকে পুনরায় নজর দিচ্ছি।'
আমেরিকা ১৯৯০ দশকের গোড়ার দিকে জিম্বাবুয়ের ওপর প্রথম অর্থনৈতিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে এবং অন্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে সে সময় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তাদের দেশে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য অভিযুক্ত করেছিল ওয়াশিংটন। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যসহ বিভিন্ন দেশ জিম্বাবুয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স