ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে একে একে ৩৮টি ড্রোন ধ্বংস করেছে রাশিয়া। এই ৩৮টি ড্রোনই ইউক্রেনের এবং দেশটি এসব ড্রোন দিয়ে ক্রিমিয়ায় আক্রমণ চালাতে এসেছিল। তবে হামলা চালাতে আসা সব ড্রোনই ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়া। যদিও এসব ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার ভোরে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে হামলা করতে ইউক্রেনের পাঠানো ৩৮টি ড্রোন রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।
এর আগে ক্রিমিয়ার ফিওডোসিয়া বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়ে ইউক্রেনীয় ও রুশ সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় 'টেলিগ্রাম' মেসেজিং অ্যাপে দেওয়া বিবৃতিতে রোববার ভোরের এই ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহত হয়েছে কিনা তা জানায়নি। অবশ্য ফিওডোসিয়ার কাছে রাস্তায় যান চলাচল উলেস্নখযোগ্যভাবে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে ক্রিমিয়ার রাশিয়া-নিযুক্ত কর্মকর্তারা আগেই জানিয়েছিলেন। এছাড়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার মূল ভূখন্ডের সঙ্গে সংযুক্তকারী সেতুতে যান চলাচল কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলেও ক্রিমিয়ার রুশ কর্মকর্তারা 'টেলিগ্রামে' জানিয়েছেন।
এর আগে ইউক্রেনেও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও আটজন। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বন্দরনগরী ওডেসার একটি অ্যাপার্টমেন্ট বস্নকে চালানো হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
হামলার পর ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া উঠেতে দেখা যায়। এছাড়া অ্যাপার্টমেন্ট বস্নকের পাশে ঝুলে থাকা কংক্রিট ও ইস্পাতের ধ্বংসস্তূপে কাপড় ও আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতেও দেখা যায়। ইউক্রেনের 'স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস' রুশ এই হামলার পর বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছে। যার মধ্যে একটি ছবিতে এক মৃত শিশুকে উদ্ধারকারীদের ব্যাগে রাখতে দেখা যায়। ক্যাপশনে সংস্থাটি লিখেছে, 'এটি ভুলে যাওয়া অসম্ভব! এটি ক্ষমা করাও অসম্ভব।'
এদিকে, রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনটি ছিল ইরানের সরবরাহকৃত শাহেদ ড্রোন। ইউক্রেনের গভীরে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে মূলত এই ধরনের দূরপালস্নার কয়েক হাজার ড্রোন ব্যবহার করেছে রাশিয়া।