ইসরাইলি আগ্রাসন

গাজায় মৃতু্যর প্রহর গুনছে ক্ষুধার্ত শিশুরা

রাফাহ শহরে আবারও হামলা নিহত ১৪ ফিলিস্তিনি বিমান থেকে ৩৮ হাজার প্যাকেট খাবার ফেলল আমেরিকা

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিমান থেকে গাজায় খাবার ফেলা হচ্ছে
ম যাযাদি ডেস্ক ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধরত উভয়পক্ষকে এখনই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন ইউনিসেফের প্রধান ক্যাথরিন রাসেল। ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভোগা গাজার প্রতিটি শিশু যেন এক একটি মিনিট গণনা করছে বলেও উলেস্নখ করেছেন তিনি। এদিকে, গাজার রাফাহ, দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন অনেকে। রাফাহ শহরে বাস্তুচু্যত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় এই হামলা হয়। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাফাহতে সর্বশেষ হামলার ফলে একটি চারতলা ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনি 'ওয়াফা নিউজ এজেন্সি' জানিয়েছে, এতে অন্তত ছয় শিশু নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আরও অনেক বেসামরিক নাগরিক- নারী ও শিশু এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপাপড়াদের উদ্ধারে ভারী যন্ত্রপাতি ও উদ্ধার সরঞ্জাম দরকার কিন্তু তা নেই। এমনকি সেখানে জ্বালানিরও অভাব রয়েছে। ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিমান থেকে খাবার ফেলল আমেরিকা ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে বিমান থেকে খাবার সহায়তা ফেলেছে আমেরিকা। জর্ডানের বিমান বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড তাদের সামরিক বিমান থেকে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য এই খাবার নিচে ফেলে। তিনটি সামরিক বিমানে প্যারাসু্যটের মাধ্যমে শনিবার ৩৮ হাজারের বেশি প্যাকেট খাবার ফেলা হয়। এই সহায়তাগুলো গাজায় আরও বেশি সাহায্য আনার একটা প্রক্রিয়া, যার সঙ্গে যোগ হবে সড়ক পথে ও অন্যান্য পথে সহায়তা আনা। এর আগে গাজায় প্রথমবারের মতো বিমান থেকে খাদ্য ফেলার পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন এক কর্মকর্তা জানান, তিনটি সামরিক বিমান (সি-১৩০) থেকে প্যারাসুটের সাহায্যে এসব ত্রাণ মাটিতে পৌঁছানো হয়েছে। এই কাজে আমেরিকাকে সাহায্য করেছে জর্ডানের বিমান বাহিনী। বিমান থেকে এই সহায়তা এমন সময় দেওয়া হলো, যখন আমেরিকার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, গাজার ছয় সপ্তাহের একটা যুদ্ধবিরতি আনার সবরকম প্রস্তুতি চলমান। বাইডেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তা শনিবার জানান, ইসরাইল একটা নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব 'অনেকটা প্রায় গ্রহণ করেছে'। গত বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ১১৬ জন নিহত হলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রতিশ্রম্নতি দেন, সহায়তার কাজে দ্রম্নতগতি আনবেন। সেদিন ইসরাইলি হামলায় আরও ৭৬০ জন আহত হয় বলে জানায় হামাস। গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে উপকূলের রাস্তা আল-রশিদ স্ট্রিট, যা সাম্প্রতিক সময়ে ত্রাণ বিতরণের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল, সেখানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। হামাস বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে। কিন্তু ইসরাইল বলছে, সেখানে সতর্কতার জন্য শুধু ফাঁকা গুলি ছোড়া হয় এবং মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায়। কিন্তু গাজা সাব অফিসে 'হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স' (ওসিএইচএ) বিষয়ক জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর গিওর্গিওস পেত্রোপোলস বলেন, তিনি ও তার দল আল-শিফা হাসপাতালে গিয়ে প্রচুর গুলিবিদ্ধ মানুষ দেখতে পেয়েছেন।