ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদি দখলদার ইসরাইল তাদের দেওয়া শর্ত মেনে নেয়, তাহলে আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে। রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোয় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস-ইসরাইল ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। এই আলোচনা শুরুর আগে এমন তথ্য জানান নাম প্রকাশ না করা হামাসের ওই কর্মকর্তা। তথ্যসূত্র : এএফপি
তিনি বলেন, 'যদি ইসরাইল হামাসের শর্ত মেনে নেয়, যার মধ্যে রয়েছে বাস্তুচু্যত ফিলিস্তিনিদের গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরতে দেওয়া এবং ত্রাণ সহায়তার সরবরাহ বৃদ্ধি করা, তাহলে আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতির পথ খুলবে।'
শনিবার মার্কিন এক কর্মকর্তা জানান, ইসরাইল ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এখন প্রস্তাবটি কার্যকর হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে হামাসের ওপর। যদি তারা এতে সম্মতি দেয়, তাহলে দুইপক্ষের মধ্যে ফের যুদ্ধবিরতি হবে।
গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আমেরিকা এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা যুদ্ধবিরতির সব কিছুই প্রস্তুত আছে। ইসরাইলও এই চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। এখন শুধু হামাসের স্বাক্ষরের জন্য অপেক্ষা। শনিবার মিসরের দুটি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির সময়কাল এবং বন্দি মুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার ও সেখানকার বাসিন্দাদের ফেরত আসা বিষয়ে এখনো একমত হতে পারেনি তারা। ফলে এ বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে বলে আশা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রমজান শুরু হবে ১০ মার্চ।
দুই সপ্তাহ আগে ফ্রান্সের প্যারিসে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতির একটি কাঠামো তৈরি করে। এবার তিন ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হবে। শর্তমতে, হামাসের হাতে এখনো বন্দি প্রায় ১৩০ জন ইসরাইলিকে মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময় কয়েকগুণ বেশি ফিলিস্তিনিকে ইসরাইলি কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গাজায় ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেবে না ইসরাইল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়।