ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ইসু্যতে কথা ঘোরালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার তিনি বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি কার্যকর হতে পারে। যদিও সম্প্রতি বাইডেন বলেছিলেন, 'আমরা যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুব কাছাকাছি।' চলতি সপ্তাহেই তা কার্যকরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। বাইডেন বলেছেন, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি রমজানের মধ্যে কার্যকরে আমি আশাবাদী।' তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, রয়টার্স, এএফপি
হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, 'আমি আশাবাদী, এটি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।' যুদ্ধবিরতি কখন কার্যকর হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে গত সপ্তাহে বাইডেন আইসক্রিম হাতে বলেছিলেন, আশা করছি চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে হামাস ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।' বাইডেন বলেছিলেন, 'আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা একটি যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি এবং এটি আগামী সোমবার কার্যকর হতে পারে।'
গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলবে মার্কিন সামরিক বাহিনী
ইসরাইলের অবরোধ ও নির্বিচার হামলার মধ্যে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা ফিলিস্তিনি ভূখন্ড গাজায় বিমান থেকে খাদ্য ত্রাণ ও অন্যান্য সরবরাহ ফেলবে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এমন কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার গাজা সিটির কাছে ত্রাণের জন্য ভিড় করা শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃতু্যর পরদিন শুক্রবার বাইডেন এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
বাইডেন জানান, আমেরিকা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করবে। কিন্তু বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি। তবে ফ্রান্স ও জর্ডানসহ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করেছে।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের আরও বেশি কিছু করা দরকার। আমেরিকা আরও কিছু করবে। গাজায় ত্রাণের প্রবাহ কোনোভাবেই পর্যাপ্ত নয়।' গাজায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সরবরাহ করতে কোনো সামুদ্রিক করিডর সম্ভব কি-না, আমেরিকা তা খুঁজে দেখছে বলেও জানান তিনি। বাইডেন বলেছেন, 'নিরপরাধ লোকজন ভয়ানক একটি যুদ্ধের মধ্যে আটকা পড়ে গেছে, তারা তাদের পরিবারকে খাবারও দিতে পারছে না। তারা যখন ত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করেছে কী হয়েছে আপনারা দেখেছেন।'
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনি বা রোববার থেকেই গাজায় তাদের ত্রাণ ফেলা শুরু হতে পারে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি জানিয়েছেন, প্রথম ফেলা ত্রাণগুলোতে 'তৈরি খাবার' থাকবে।
কিন্তু বিমানযোগে ত্রাণ ফেলার প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল ও এভাবে সরবরাহ করা ত্রাণ অপর্যাপ্ত হওয়ায়, এর সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো। ত্রাণ সংস্থা 'অক্সফাম' বলেছে, 'গাজায় আমেরিকার ত্রাণ ফেলার বিষয়টি অক্সফাম সমর্থন করে না, এটি মূলত মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তাদের বিবেকের দায় থেকে মুক্তি দিতে কাজ করবে, যাদের নীতি গাজায় চলমান নৃশংসতা এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে অবদান রাখছে। সংস্থাটি বলছে, যেখানে গাজার ফিলিস্তিনিদের একেবারে প্রান্তে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, সেখানে কোনো নিরাপদ বিতরণের পরিকল্পনা ছাড়া তুচ্ছ, প্রতীকী পরিমাণ ত্রাণ গাজায় ফেলা কোনো সাহায্য করবে না এবং এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর হবে। এর বদলে 'ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহের প্রবাহ বন্ধ করা নিয়ে আমেরিকার কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।