ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি সাফারি পার্কে সিংহ ও সিংহীর নাম নিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ ওঠার পর নাম পাল্টানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজলা চিড়িয়াখানা থেকে গত ১২ ফেব্রম্নয়ারি শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে আনা পশু দুটির নাম নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
সাফারি পার্কে আনার পর সিংহটির নাম দেওয়া হয় 'আকবর', যা মূলত ষোল শতকের মুঘল সম্রাট আকবরের নাম। অপরদিকে সিংহীর নাম রাখা হয় 'সীতা', যা হিন্দু দেবীর নাম।
কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সীতার নাম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলে, সিংহীর এই নাম দেওয়াটা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল। নাম পাল্টানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয় পরিষদ।
বৃহস্পতিবার আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, হিন্দু দেব-দেবী, মুসলিমদের নবী বা ধর্মপ্রচারক, খ্রিস্টান ব্যক্তিত্ব, নোবেল বিজয়ী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে পশুদের নাম হওয়া উচিত নয়।
বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, 'আপনারা এর নাম দিতে পারেন বিজলী (বজ্র), অথবা সে রকম কিছু। কিন্তু তা না করে আকবার আর সীতার নাম কেন?'
এছাড়া কুকুরের মতো পোষা প্রাণীর নাম মানুষের নাম অনুযায়ী রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে কিনা, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারক। তিনি বলেন, 'আপনারা বিতর্ক এড়িয়ে
চলতে পারেন।'
ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ঘনিষ্ঠ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানায়, সিংহ-সিংহীর নাম নিয়ে তারা গোটা দেশ থেকেই অভিযোগ পেয়েছে। সীতা রামের পত্নী এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র দেবী। কিন্তু তার নামানুসারে সিংহীর নাম দেওয়াটা ধর্মাবমাননাসূচক। এটি হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে সরাসরি আঘাত। তথ্যসূত্র : বিবিসি