পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে জয়ী পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্রদের প্রায় সবাই সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়েছেন। বুধবার দেশটির নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন তারা। এর আগে জোট গঠনে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি করেছিল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তথ্যসূত্র : ডন
দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের প্রায় সব পিটিআই-সমর্থিত বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী বুধবার নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দিয়েছেন। আর এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগদান করেছেন তারা।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে জয়ী জাতীয় পরিষদের ৮৯ জন এমএনএ, খাইবার পাখতুনখাওয়া অ্যাসেম্বলির ৮৫ জন, পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির ১০৬ জন এবং সিন্ধু অ্যাসেম্বলির ৯ জন সদস্য বুধবার নির্বাচন কমিশনে তাদের হলফনামা জমা দিয়েছেন।
হলফনামা জমা দেওয়ার মাধ্যমে মূলত পিটিআইয়ের সেই দাবির প্রমাণ মিলল যে, তারা জাতীয় পরিষদের ৯৩টি আসন জিততে পেরেছে। অন্যদিকে ওমর আইয়ুব খান, ব্যারিস্টার গহর খান এবং আলি আমিন গন্ডাপুরসহ তিনজন দলীয় নেতা হলফনামা জমা দেননি। আর দাওয়ার কুন্দি নামে অন্য একজন প্রার্থীর নামে এখনো ইসিপির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি।
ওমর আইয়ুব খান ও ব্যারিস্টার গহর ইচ্ছাকৃতভাবে এসআইসি সদস্য হওয়ার জন্য হলফনামা জমা দেননি। কারণ তারা পিটিআইয়ের আন্তঃদলীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন। আর আলি আমিন গন্ডাপুরও হলফনামা দাখিল করেননি। কারণ তিনি খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য পিটিআইয়ের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
পিটিআইয়ের বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ওমর আইয়ুব ও গহর খান ছাড়া জাতীয় পরিষদের ও প্রাদেশিক পরিষদের পিটিআই সমর্থিত জয়ী সব প্রার্থী এসআইসিতে যোগদান করেছেন। এমনকি জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত দুই সদস্য চৌধুরী ইলিয়াস এবং ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আসলাম ঘুম্মান নিখোঁজ থাকলেও তাদের হলফনামাও ইসিপিতে জমা দেওয়া হয়েছে।
পিটিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, 'আমরা আশা করি, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সংরক্ষিত আসন থেকে আমরা আমাদের প্রাপ্য অংশ পাব।'
উলেস্নখ্য, পাকিস্তানের সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে কোনো দলই সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যদিও এই দলটি তাদের নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নিতে পারেনি।
এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। আর তৃতীয় স্থানে আছে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।