আজকের যায়যায়দিন

রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির মৃতু্য এবং ইউক্রেনে দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা দেবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলেননি।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, রাশিয়ার রাজস্বের বিভিন্ন উৎসসহ প্রতিরক্ষা খাত ও বিভিন্ন শিল্পকেন্দ্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা-বিষয়ক মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, নাভালনির সঙ্গে যা ঘটেছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার জবাবদিহি আদায়ে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ঘোষণার জন্য নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা আগেই নেওয়া হয়। এখন এই পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করবে ওয়াশিংটন। নাভালনির মৃতু্যর জেরে এই পরিকল্পনায় বাড়তি পদক্ষেপ

যুক্ত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফরে আছেন। সফরকালে তিনি নাভালনির মৃতু্যর ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। এ ব্যাপারে জানে, এমন দুটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি সামনে রেখে নেলসন জার্মানি, বেলজিয়াম ও ফ্রান্স সফর করছেন। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে মস্কোর বিরুদ্ধে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন, দেশটির বিভিন্ন কর্মকর্তা, ব্যাংক এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে।

২০২০ সালে নাভালনিকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই দুই ঘটনার জেরে আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন নাভালনি। গত শুক্রবার রাশিয়ার একটি কারাগারে মারা যান তিনি।