পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর বুধবার আবারও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে ভারতীয় পুলিশ। সেখানে দিলিস্নমুখী মার্চের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা। তাদের দাবি 'মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস' (এমএসপি) বা সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ। ২০২০-২১ সালের মতো সহিংস বিক্ষোভ এড়াতে পঞ্চমবারের মতো তাদের আলোচনায় আহ্বান জানিয়েছে সরকার। এ কথা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। তিনি কৃষকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বলেছেন, চতুর্থ রাউন্ডের আলোচনার পর সরকার সব ইসু্য নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তিনি সব কৃষক নেতাকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, পুরনো সর্বোচ্চ মূল্যে ভুট্টা, তুলা এবং তিন রকমের ডাল কেনার সরকারি প্রস্তাব সোমবার সন্ধ্যায় প্রত্যাখ্যান করেছেন কৃষকরা।
তারা বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি শস্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে। ফলে এমন প্রস্তাবের কোনো অর্থ থাকতে পারে না। অন্য ১৮টি শস্যের বিষয়ে তারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে বলে কৃষকদের দাবি। এমন দাবি নিয়ে গত সপ্তাহ থেকে কৃষকরা অবস্থান নিয়েছেন পাঞ্জাব-হরিয়ানা রাজ্যের সীমান্ত অঞ্চল শ্যামভুতে। এতে যোগ দিয়েছেন লাখ খানেক কৃষক। তাদের শান্ত করতে সব পক্ষই সমঝোতার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো চেষ্টাই কাজে আসছে না। তারা এবং দিলিস্ন এর মধ্যে প্রায় ২০০ কিলোমিটার মহাসড়ককে সুরক্ষিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তাতে কংক্রিটের ব্যারিয়ার, কাঁটাতারের বেড়া এমনকি তারকাঁটাসহ স্ট্রিপ ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে কৃষকদের ট্রাক্টরগুলোকে পেছনে রাখা যায়। ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে কৃষকরা দিলিস্নতে অনুপ্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় দিলিস্নতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গাজিপুর, তিকরি, নয়ডা এবং সিঙ্গু'র মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং পয়েন্টে ধাতব ও সিমেন্টের ব্যারিয়ার দিয়ে আটকে দিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া ১৪৪ ধারার অধীনে দিলিস্নতে এক মাসের জন্য জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে দিলিস্ন পুলিশ।