শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

ট্রাম্প শিবিরের মন জয়ের চেষ্টায় ইউরোপ

যাযাদি ডেস্ক
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ন্যাটোর ঐক্য ও ইউক্রেনের জন্য সহায়তা কেন আমেরিকার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ, তার পক্ষে একাধিক যুক্তির মাধ্যমে ট্রাম্প শিবিরের মন জয় করার চেষ্টা করছেন পশ্চিমা নেতারা। তাদের মতে, চীনের আধিপত্য রুখতেও এমন সংহতির প্রয়োজন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এএফপি, ডিডাবিস্নউ নিউজ

মার্কিন আর্থিক সহায়তা ছাড়া ইউক্রেনের পক্ষে যে রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করা সহজ নয়, তা সম্প্রতি স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে গোলাবারুদ কমে যাওয়ায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনী প্রয়োজনমতো হামলার জবাব দিতে পারছে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈদেশিক সহায়তা বিলের অংশ হিসেবে ইউক্রেনের জন্য ৬০০ কোটি ডলার মঞ্জুর করতে চান। কিন্তু রিপাবলিকান দলের ট্রাম্পপন্থি কংগ্রেসম্যানদের কারণে নিম্নকক্ষে সেই প্রস্তাব এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেই বিলম্বের খেসারত দিতে হচ্ছে ইউক্রেনকে।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মরিয়া হয়ে আরও সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সেখানে উপস্থিত মার্কিন প্রতিনিধিদলও ইউক্রেনের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে। জার্মানি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ আরও সহায়তার অঙ্গীকার করেছে। তা সত্ত্বেও আমেরিকার মোটা অঙ্কের সহায়তার বিকল্প পাওয়া যায়নি। এমনকি ইউরোপ এখনো নিজস্ব অঙ্গীকার পুরোপুরি পালন করতে পারেনি।

গত শনিবার বাইডেন জেলেনস্কিকে বলেন, যে প্রতিনিধি পরিষদের অনুমোদন সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। তার মতে, মার্কিন সহায়তার অভাবে ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে আরও এলাকা হারাক, সেটা একেবারেই হতে দেওয়া চলে না। জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহায়তার প্রশংসা করে কংগ্রেসের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের আশা প্রকাশ করেন।

বাইডেনের আমলেই ইউক্রেনের জন্য সহায়তায় এমন বিঘ্ন ঘটলে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে কী ঘটবে, সে বিষয়ে ইউরোপ ও ন্যাটোর শীর্ষ নেতারা গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সামরিক জোট ন্যাটো সম্পর্কে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য তাদের দেশের নিজস্ব প্রতিরক্ষা কাঠামোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে।

আমেরিকার দুই রাজনৈতিক দল এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির গুরুত্ব স্পষ্ট করার চেষ্টা করছেন তারা। ট্রাম্পের দাবি মেনে প্রতিরক্ষা খাতে ইউরোপের নিজস্ব ব্যয় বাড়ানোর দৃষ্টান্ত উলেস্নখ করেছেন। চলতি বছর ন্যাটোর ৩১টি সদস্যের মধ্যে ১৮টি দেশই জিডিপির কমপক্ষে ২ শতাংশ ব্যয় করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম প্রধান বিষয় চীনের আধিপত্য রুখতে দুর্বল ইউরোপ যে মার্কিন স্বার্থের ক্ষতি করবে, সেই যুক্তিও তুলে ধরা হচ্ছে।

গত মাসে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ 'থিংক ট্যাংক' হিসেবে পরিচিত হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে এক ভাষণ দেন। মিউনিখে তিনি মনে করিয়ে দেন, মার্কিন আর্থিক সহায়তার অর্থ আমেরিকা থেকে অস্ত্র কিনতেও ব্যয় করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে