প্যারোলে মুক্তি পেলেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা

প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। রোববার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। এর আগে ১৫ বছরের স্বেচ্ছা-নির্বাসন কাটিয়ে গত বছর দেশে ফিরে তিনি কারাবন্দি হয়েছিলেন। এর মাত্র ছয় মাস পরই মুক্তি পেলেন তিনি। প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে তার আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে সেনা অভু্যত্থানে ক্ষমতা থেকে উৎখাত এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ১৫ বছর পর নিজ স্বদেশে মুক্তভাবে প্রথম দিন শুরু করলেন তিনি। প্রভাবশালী এই বিলিয়নেয়ারের পরিবারের দলই এখন থাইল্যান্ডে ক্ষমতায় রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য ছয় মাসের দন্ডে হাসপাতালে বন্দি থাকার পর রোববার তিনি মুক্তি পান। অবশ্য দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে তাকে আট বছরের কারাদন্ড দেওয়া হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই তার কারাদন্ড কমিয়ে এক বছর করেন দেশটির রাজা। ৭৪ বছর বয়সি থাকসিনকে রোববার ভোরে একটি কালো মার্সিডিজ ভ্যানে করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় সবুজ শার্ট পরা থাকসিনকে তার ছোট মেয়ে ও ক্ষমতাসীন পিউ থাই দলের নেতা পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রার পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। থাকসিন তার বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থার কারণে প্যারোল মুক্তি পাওয়ার যোগ্য ছিলেন এবং স্বাস্থ্যগত কারণে তাকে হাসপাতালে আটক রাখা হয়েছিল। রোববার ভোরে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার প্রায় ২৫ মিনিট পরে তাকে বহনকারী গাড়িটিকে পরিবারের ব্যাংককের বাসভবনে আসতে দেখা যায়। পেতাংতার্ন তার বাবার সঙ্গে গাড়িতে একটি ছবির পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামে তার অনুগামীদের একজনের একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যাতে লেখা ছিল- 'থাকসিন বাড়িতে পৌঁছেছেন, আশা করি তিনি সুস্থ থাকবেন।' প্রসঙ্গত, বিদেশে ১৫ বছর স্বেচ্ছা-নির্বাসনে থাকার পর ২০২৩ সালের আগস্টে দেশে ফেরেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয় বলেও সে সময় খবর প্রকাশ হয়। তথ্যসূত্র : রয়টার্স