গোলাবারুদের অভাবে রণক্ষেত্র থেকে পিছু হটল ইউক্রেন

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গোলাবারুদের অভাবে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিভকা থেকে সেনা ফিরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির নতুন সেনাপ্রধান শনিবার এ কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি ২০২৩ সালের মে মাসের পর থেকে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী। তার মধ্যেই গোলাবারুদ সংকটে পিছু হটার কথা জানাল ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সেনাদের জীবন বাঁচানোর অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স যুদ্ধের আগে আবদিভকায় ৩০ হাজার বাসিন্দা ছিলেন। তবে বর্তমানে শহরটির সব বাসিন্দা সরে গেছেন। এ ছাড়া আভদিভকাও একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনাদের আভদিভকা ছাড়ার মাধ্যমে গত কয়েক মাসের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, পশ্চিমারা পর্যাপ্ত পরিমাণ অস্ত্র না দেওয়ায় সেনাদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। উলেস্নখ্য, কয়েক মাস ধরে অস্ত্রের অভাবে ভুগছে ইউক্রেন। দেশটির সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ মূলত আমেরিকা ও অন্য মিত্ররা অস্ত্র দিতে দেরি করায় এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে কিয়েভ। শনিবার জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে পশ্চিমা দেশগুলোকে অস্ত্র সরবরাহের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জেলেনস্কি, যেন ইউক্রেন 'দানবকে' হারাতে পারে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিনকে 'দানব' হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যদি পশ্চিমারা এখন ইউক্রেনের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে আগামী কয়েক বছরে রাশিয়া আরও অনেক দেশকে 'বিপর্যস্ত' করে দেবে। উলেস্নখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করেন পুতিন। মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেছেন, 'ইউক্রেনকে জিজ্ঞাসা করবেন না কখন যুদ্ধ শেষ হবে। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, পুতিন কেন এখনো যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারছেন?' আভদিভকায় ২০১৪ সাল থেকেই যুদ্ধ চলছে। দোনেৎস্কের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত আভদিভকার আশপাশের অঞ্চল ২০১৪ সালে দখল করে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এরপর এটি লড়াইয়ের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়। শনিবার ভোরে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেক্সান্ডার স্রিসকি। তিনি জানিয়েছেন, 'ঘেরাও হওয়া থেকে রক্ষা পেতে এবং সেনাদের জীবন বাঁচাতে' এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আরও দাবি করেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে এবং শত্রম্নদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।