ভারতের মণিপুরে পুলিশ-জনতা সংঘষ, গুলিতে নিহত ২

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
উত্তর-পূর্ব ভারতের দাঙ্গাবিক্ষুব্ধ রাজ্য মণিপুরের চুরাচাঁদপুর জেলায় বৃহস্পতিবার রাতে একদল উত্তেজিত জনতা জেলা পুলিশ প্রধানের কার্যালয় ঘেরাও করে হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ভিড় লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। যাতে দু'জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি, রয়টার্স গত বছরে মে মাসে মণিপুরে সংখ্যাগুরু মেইতেই এবং সংখ্যালঘু কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে মাসব্যাপী চলা দাঙ্গায় প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হয়। প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। তারপর থেকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রাজ্যটিতে মাঝেমঝ্যেই সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার যেখানে সংঘর্ষ হয়েছে সেই চুরাচাঁদপুরে মূলত কুকি-জো সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। গত বছরের মে মাসে এই জেলাতেই প্রথম দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবারের সংঘাতের কারণ কুকি সম্প্রদায়ের একজন কনস্টেবল। অস্ত্রধারী কয়েকজনের সঙ্গে ওই কনস্টেবলের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ তাকে বরখাস্ত করে। যার জেরে প্রায় ৪০০ জনের একটি দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা পুলিশ প্রধানের কার্যালয় ঘেরাও করে তান্ডব শুরু করে এবং ওই কনস্টেবলের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানায়। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত যে এলাকায় উত্তেজিত জনতা হামলা চালায়, সেখানে পুলিশ প্রধানের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও অবস্থিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'তারা ফটক ও প্রাচীর বেয়ে ভেতরে চলে আসে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয় এবং গভীর রাতে ডেপুটি কমিশনারের সরকারি বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।' এদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর প্রথমে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। তাতেও তারা সরে না গেলে 'গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়'। এ ঘটনায় প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে এবং তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগামী আরও পাঁচ দিনের জন্য চুরাচাঁদপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, 'দি ইন্ডিজেনাস ট্রিবাল লিডার্স ফোরাম' (আইটিএলএফ) থেকে জেলা পুলিশ প্রধান শিবানন্দ সুরভিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চুরাচাঁদপুর ছাড়ার হুঁশিয়ারি জারি করেছে। শিবানন্দই ওই কনস্টেবলকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন।