হাতে গোলা-বারুদ নেই, জার্মানি সফরে জেলেনস্কি
প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ আরও তীব্র হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে জার্মানিতে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বার্লিনে পৌঁছে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সেও যোগ দেবেন তিনি। সেখানে ৪০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানরা যোগ দেবেন। সেখানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও যোগ দেবেন। প্রচুর সামরিক বিশেষজ্ঞও থাকবেন সেখানে। তথ্যসূত্র : ডিডাবিস্নউ নিউজ, এএফপি
জেলেনস্কির কাছে এই সময়টা রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তার হাতে গোলা-বারুদের পরিমাণ কমে গেছে। পশ্চিমা দেশগুলো উৎপাদন বাড়িয়েছে, কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি তা ইউক্রেনের হাতে পৌঁছবে না। আর এর মধ্যে রাশিয়া আক্রমণ আরও তীব্র করতে পারে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে এখন হিসাব করে গোলাগুলি খরচ করতে হবে। এ বিষয়টি নিয়ে মিউনিখে আলোচনা হবে।
মার্কিন সিনেটে জো বাইডেনের ডেমোক্রেটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই সেখানে ইউক্রেনকে ছয় হাজার কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া নিয়ে সংশয় আছে। কারণ সেখানে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে।
আমেরিকা থেকে গোলাগুলি আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন বিপাকে পড়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার হাতে যদি পাঁচটা গোলা থাকে তো, ইউক্রেনের হাতে একটি আছে। অথচ পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ানক হচ্ছে।
সামরিক বিশ্লেষক মার্কাস রেইসনার বলেছেন, 'যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা ক্রমশ বিপজ্জনক হচ্ছে। অন্তত ১৫টি জায়গায় রাশিয়ার সেনা এগোচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে কিছু জয়গায় তারা ছয় কিলোমিটার এলাকা নিজেদের দখলে এনেছে। কিছু জায়গায় দেড় কিলোমিটার এলাকা তারা দখল করেছে।' তিনি বলেছেন, 'এর প্রধান কারণ, ইউক্রেনের হাতে এখন গোলাগুলি খুবই কমে গেছে। তার সুয়োগ নিয়ে রাশিয়ার কামান এখন সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে।' রেইসনার বলেন, চলতি বছর ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছাবে।