শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায় উত্তর কোরিয়া-জাপান

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
কিম ইয়ো-জং

উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের বোন বৃহস্পতিবার বলেছেন, তার দেশ টোকিওর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালাবে। এমনকি জাপানের নেতাকে ভবিষ্যতে পিয়ংইয়ং সফরের সম্ভাব্য আমন্ত্রণের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা গত সপ্তাহে টোকিও ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে বর্তমান সম্পর্কের পরিবর্তনের জন্য 'জরুরি প্রয়োজন' অনুভব করার পর কিম ইয়ো জং-এর মন্তব্য এসেছে।

কিম ইয়ো সরকারি কোরিয়ান 'সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি'কে (কেসিএনএ) এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'আমি মনে করি, তার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে প্রশংসা না করার কোনো কারণ নেই। যদি এটি সাহসিকতার সঙ্গে নিজেকে অতীতের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য তার আসল উদ্দেশ্য দ্বারা প্ররোচিত হয়।'

কিম বলেন, ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে উত্তর কোরিয়ার জাপানি নাগরিকদের অপহরণের দীর্ঘকাল ধরে চলমান বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়াসহ টোকিওর পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে দু'টি দেশ 'একসঙ্গে একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে'। তিনি আরও বলেন, 'দুই দেশের ঘনিষ্ঠ না হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না এবং জাপানি প্রধানমন্ত্রীর পিয়ংইয়ং সফরের দিন আসতে পারে।'

জাপানে অপহরণ একটি শক্তিশালী এবং আবেগপ্রবণ বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। উত্তর কোরিয়া ২০০২ সালে স্বীকার করেছিল, তারা ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে ১৩ জন জাপানিকে অপহরণ করতে এজেন্ট পাঠিয়েছিল। তাদের জাপানি ভাষা ও রীতিনীতিতে তার গুপ্তচরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল। তবে জাপানের সন্দেহ, তাদের অনেক বেশি নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে।

গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এক বক্তৃতায় কিশিদা উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে 'কোনো শর্ত ছাড়াই' দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং বলেছিলেন টোকিও অপহরণসহ সব সমস্যা সমাধান করতে ইচ্ছুক।

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি ২০০২ সালে পিয়ংইয়ংয়ে একটি যুগান্তকারী সফর করেছিলেন। তিনি কিমের বাবা কিম জং-ইলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি পথ নির্ধারণ করেছিলেন। যেখানে জাপান অর্থনৈতিক সহায়তা দেবে। তথ্যসূত্র : এএফপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে