ন্যাটো নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য

ঘুম উবে গেছে ইউরোপের

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ন্যাটো নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প শনিবার বলেন, ন্যাটোর যেসব দেশ তাদের আর্থিক দায়বদ্ধতা পালন করছে না, তাদের আক্রমণ করার জন্য তিনি রাশিয়াকে উৎসাহিত করবেন। ন্যাটোর মূল বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে ইউরোপের দেশগুলো। ইইউর পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, ন্যাটো কখনই এমন কোনো সামরিক জোট নয়, যা মার্কিন প্রেসিডেন্টের রসিকতার ওপর নির্ভর করে। তথ্যসূত্র : ডিডাবিস্নউ নিউজ গত শনিবার ট্রাম্প সাউথ ক্যারোলিনায় নির্বাচনী প্রচার সভায় বলেন, ন্যাটোর শরিক দেশগুলো যদি তারা তাদের ভাগের অর্থ না দেয়, তাহলে তিনি যা খুশি করার জন্য রাশিয়াকে উৎসাহিত করবেন। ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, ট্রাম্পের আগামী নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টলটেনবার্গ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, 'ন্যাটোর সদস্যদের নিয়ে ট্রাম্প যা বলেছেন, তার প্রভাব আমেরিকা ও ন্যাটোর দেশগুলোর ওপর সমানভাবে পড়বে। ফলে আমেরিকা ও ইউরোপীয় সেনার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।' প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ন্যাটো থেকে সরে আসার হুমকি অনেকবার দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি একাধিকবার বলেছেন, আমেরিকা যে তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে, তার জন্য ইউরোপকে অর্থ দিতে হবে। ফলে ন্যাটোর চুক্তির বহুল আলোচিত পাঁচ নম্বর অনুচ্ছেদ পালন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ন্যাটোর কোনো একটি দেশ যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে ইউরোপ ও আমেরিকা সেই আক্রমণকে নিজেদের ওপর আক্রমণ হিসেবে দেখবে এবং তা প্রতিহত করবে। ট্রাম্প ফের ন্যাটো নিয়ে সেই বিতর্কিত কথাই বলেছেন। কূটনীতিকদের মতে, প্রচারে নেমে এই কথা বলাটা খুবই উদ্বেগজনক। ন্যাটোর অনেক শরিক দেশই মনে করে, ট্রাম্প যদি আবার জিতে আসতে পারেন, তাহলে তিনি আগের থেকে অনেক বেশি করে শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবেন। ব্রাসেলসের ইনস্টিটিউট ফর ইউরোপিয়ান স্টাডিজের এলিসন উডওয়ার্ড বলেন, 'গতবার ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন ইইউ ও আমেরিকার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন দেখা গিয়েছিল। একটা নাটকীয় পরিবর্তন দেখা দিয়েছিল। ফলে যদি ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসেন, তাহলে কী হবে, ইউরোপের দেশগুলোর এই চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক।' ট্রাম্পের মন্তব্যের অর্থ হলো, ইউরোপের দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রম্নতি মতো জিডিপির ২ শতাংশ অর্থ প্রতিরক্ষা খাতে খরচ করছে না। ২০১৪ সালে ওয়েলসে ন্যাটো শীর্ষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের কথার মধ্যেও যুক্তি আছে।