পাকিস্তানে ভোট
নির্বাচনী ফল মেনে না নিতে বাইডেনের ওপর চাপ
নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ পুরোপুরি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এর ফল যেন মেনে না নেন
প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
পাকিস্তানের নির্বাচনের ফল মেনে না নেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আমেরিকার বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা। অনুরোধকারীদের মধ্যে রিপাবলিকান পার্টির পাশাপাশি বাইডেনের নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারাও রয়েছেন। তাদের দাবি, পাকিস্তানের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ পুরোপুরি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এর ফল যেন মেনে না নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তথ্যসূত্র : এএফপি, জিও নিউজ
নির্বাচনের পরদিন গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছিল, পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় আমেরিকা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এসব অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।
এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে 'বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মূল্যায়নের সঙ্গে' একমত পোষণ করেছে আমেরিকা। পর্যবেক্ষক দল জানিয়েছেন, এই নির্বাচনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।' মিলার বলেন, রেকর্ড সংখ্যক নারী, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু আর তরুণ এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তিনি বলেন, 'বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে উন্নত করার লক্ষ্যে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা হবে। পাকিস্তানের জনগনের যে শান্তি, গণতন্ত্র এবং সমৃদ্ধি প্রাপ্য, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।'
এরপর আমেরিকার প্রভাবশালী 'হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি'র জ্যেষ্ঠ সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান বলেন, পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো স্বাধীনভাবে ভোটের ফল প্রচার করতে পারা উচিত এবং ফল ঘোষণায় কোনো অযৌক্তিক বিলম্ব উচিত নয়।
ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতা রাশিদা তালাইব বলেন, 'আমাদের অবশ্যই পাকিস্তানি জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ তাদের গণতন্ত্র মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। আমেরিকাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, আমাদের ট্যাক্সের (কর) অর্থ এমন কারও কাছে যাবে না, যাতে এর অবমূল্যায়ন হয়।'
পাকিস্তানে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিধিনিষেধের নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতা ডিনা টিটাস। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের আইনের শাসন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটি কার্যকরী গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
একইভাবে আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের 'বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন তদন্ত' না হওয়া পর্যন্ত ফলকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।'
আইনপ্রণেতা গ্রেগ ক্যাসার বলেন, 'মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মতো আমিও পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত দাবি করছি। ফলের স্বীকৃতি দেওয়ার আগে সেখানে বিশ্বাসযোগ্য, স্বাধীন তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে হবে আমেরিকাকে।'