মসজিদ-মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে ভারতে সহিংসতা, নিহত ৪

প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে ৬০০ বছরের পুরনো একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়ার কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় কমপক্ষে চারজন নিহত ও অন্তত ২৫০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এমনকি, দাঙ্গাকারীদের দেখামাত্রই গুলি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি, বিবিসি কথিত দখলকৃত সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য মসজিদটি ধ্বংস করার আদেশ দেয় আদালত। আদালতের এই আদেশের পর বৃহস্পতিবার সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীসহ সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দল 'অবৈধ' একটি মসজিদ ধ্বংস করার চেষ্টা করে। এতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে এটি ব্যাপক সহিংসতায় রূপ নেয়। কর্তৃপক্ষের মতে, মাদ্রাসা ও মসজিদটি বেআইনিভাবে নির্মিত হওয়ায় সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তরাখন্ডের ভানভুলপুরা এলাকায় একটি জনতা বেশ ক্ষুব্ধ হয় এবং এক পর্যায়ে তারা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কর্মকর্তাদের দিকে পাথর ছোড়েন তারা। তাদের দমনে লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এ সময় দাঙ্গাকারীরা থানার বাইরে পার্ক করা কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। এতে ৫০ জনের বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়। তাছাড়া প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা, পৌরসভার কর্মী ও সাংবাদিকরাও আহত হয়েছেন। হলদওয়ানির জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার প্রহ্লাদ মীনা বলেছেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই ওই মাদ্রাসা ও মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বলেছেন, 'আদালতের নির্দেশের পর ওই মসজিদ ও মাদ্রাসা ধ্বংস করার জন্য দল সেখানে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এলাকার কিছু অসামাজিক মানুষ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আমি এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।' যে মাদ্রাসাটি ভাঙা হয়েছে, সেটি মূলত একটি রেলওয়ে কলোনির অংশ। সেখানে প্রায় চার হাজার পরিবার বসবাস করে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই রেলের জন্য এই কলোনির জমি অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে এর আগে একবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিও হয়েছে।