ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে অবাধ চলাচল বাতিল দিলিস্নর
প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে অবাধ চলাচল বা 'ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম' বাতিল করেছে দিলিস্ন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম বাতিল করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।' তথ্যসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ
দেশটির মিজোরাম, মণিপুর, অরুণাচল ও নাগাল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের। এতদিন পর্যন্ত এসব সীমান্তে তেমন কড়াকড়ি ছিল না। দুই দেশের নাগরিকরা কোনো নথিপত্র ছাড়াই সীমান্ত পেরিয়ে উভয় দেশের ভেতর ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত চলাচল করতে পারতেন। দুই দেশের সীমান্তের দুই পাশের এই ৩২ কিলোমিটার এলাকাকে 'ফ্রি রেজিম মুভমেন্ট' বলা হয়।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিতে এটি স্পষ্ট যে, এখন থেকে আর সেই সুযোগ থাকছে না দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে মিজোরাম-মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। শিগগিরই মণিপুর-মিয়ানমার, অরুণাচল-মিয়ানমার এবং নাগাল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তেও বেড়া নির্মাণ শুরু হবে।
মিজোরামের সঙ্গে ৫১০ কিলোমিটার, মণিপুরের সঙ্গে ৩৯০ কিলোমিটার, অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে ৫২০ কিলোমিটার এবং নাগাল্যান্ডের সঙ্গে ২১৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের। মিয়ানমারের সঙ্গে এই চার ভারতীয় রাজ্যের সীমান্তের সম্মিলিত দৈর্ঘ্য এক হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার। নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের দিক থেকেও মিয়ানমারের জনগণ এবং এই ভারতের এই চার রাজ্যের জনগণ বেশ কাছাকাছি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রম্নয়ারি অভু্যত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এ অভু্যত্থানে নেতৃত্ব দেন।
সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পরপরই ফুঁসে উঠেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি জনতা। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করেন তারা। কিন্তু মিয়ানমারের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ দমনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করার পর ২০২২ সালের দিকে গণতন্ত্রপন্থিদের একাংশ জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দেওয়া শুরু করে।