দখলদার ইসরাইলি সেনারা প্রায় এক মাস আগে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যায়। আর ইসরাইলি সেনারা সরে যাওয়ার পরই উত্তরাঞ্চলের গাজা সিটিতে পুনরায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তথ্যসূত্র : এপি
এপির সাংবাদিক গাজা সিটির চারজন সাধারণ মানুষ এবং হামাসের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি গাজা সিটিতে পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আংশিক বেতন দেওয়া হয়েছে। সাইদ আবদেল-বার নামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তার চাচাত ভাই হামাসের একটি অস্থায়ী কার্যালয় থেকে ২০০ ডলার পেয়েছেন। এছাড়া পুলিশ সদস্য ও পৌরসভার কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়েছে।
গাজায় প্রায় চার মাস ধরে নির্বিচারে বর্বর বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এছাড়া ইসরাইলের স্থল সেনারা ট্যাংক ও কামান নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এত হামলার পরও হামাসের পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি ইঙ্গিত করছে- তারা এখনো টিকে আছে। যদিও ইসরাইল দাবি করেছিল, উত্তরাঞ্চলে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে। তারা দাবি করেছে, হামাসের ১০ হাজার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। তবে হামাস যেসব অঞ্চলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দিয়েছে, সেসব অঞ্চলে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
এপি জানিয়েছে, সাদা পোশাক ও পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্যদের পুলিশের সদর দপ্তর এবং আল-শিফা হাসপাতালের সামনে দেখা গেছে। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজ করতে দেখা গেছে। কিন্তু সেখানে তাদের লক্ষ্য করে আবারও বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
হামাসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যেখান থেকে ইসরাইলি সেনারা সরে গেছে, সেখানে এখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। তিনি আরও জানিয়েছেন, হামাসের নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন, উত্তরাঞ্চলে যেন পুনরায় বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পুলিশ সদস্যদের দোকান ও বাড়িঘরে লুটপাট ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ইসরাইলি সেনাদের হাত থেকে বাঁচতে অনেক মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে পালিয়ে গেছেন। এখন সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা হচ্ছে।