হাঙ্গেরির আপত্তি দূর হচ্ছে

আর্থিক সহায়তা :ইউরোপের দিকে তাকিয়ে আছে ইউক্রেন

এখনো কোনো সুখবর আসছে না ওয়াশিংটন থেকে

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি
অনেক আশা ও আশ্বাস সত্ত্বেও ইউক্রেন পশ্চিমা বিশ্বের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তা হাতে পাচ্ছে না। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মোটা অংকের সহায়তার সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক জটিলতার কারণে চূড়ান্ত অনুমোদন হচ্ছে না। চলতি সপ্তাহে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে সেই বাধা দূর হবে, এমন সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। তথ্যসূত্র : এএফপি, রয়টার্স একমাত্র হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে যে সিদ্ধান্ত মুলতবি রাখতে হয়েছিল, সেটি অবশেষে কার্যকর হতে পারে। অবশেষে হাঙ্গেরির আপত্তি দূর করে ব্রাসেলস থেকে আর্থিক সহায়তার আশা করছে ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন সফর করছেন। তবে ওয়াশিংটন থেকে এখনো সুখবর আসছে না। আগামী চার বছরের জন্য ইউক্রেন ব্রাসেলস থেকে পাঁচ হাজার কোটি ইউরো পেতে পারে। সে ক্ষেত্রে রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে অতি প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে পারবে দেশটি। রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংঘাতের কারণে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেন প্রশ্নে যতটা সম্ভব বাধা সৃষ্টি করে আসছেন। কিন্তু বাকি ইইউ সদস্যদের প্রবল চাপের মুখে তিনি সম্ভবত এবার আপত্তি তুলে নেবেন। এর পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি সহায়তা ইইউ বাজেট থেকে আলাদা রাখার এবং প্রতি বছর মূল্যায়নের দাবি করেছেন। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেটার সিজায়েতো রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন। সোমবার তিনি সীমান্তবর্তী শহর উঝহোরোদ শহরে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। জট ছাড়াতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরাসরি ওরবানের সঙ্গে আলোচনার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই সফর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। হাঙ্গেরির প্রতি সদিচ্ছার চিহ্ন হিসেবে ইউক্রেনের পার্লামেন্টে গত ডিসেম্বর মাসে সীমান্তবর্তী হাঙ্গেরীয় জনগোষ্ঠীর ভাষার স্বীকৃতি সংক্রান্ত একটি আইন অনুমোদন করা হয়েছে। অবশেষে ইইউ থেকে সহায়তার পথে বাধা দূর হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলেও ওয়াশিংটন থেকে এখনো সুখবর আসছে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জোরালো উদ্যোগ সত্ত্বেও বিরোধী রিপাবলিকান পার্টি তার ওপর রাজনৈতিক চাপ বজায় রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সহায়তা সঙ্কোচন সম্পর্কে আমেরিকাকে সতর্ক করেছেন। জেলেনস্কি বলেন, এর মাধ্যমে খারাপ বার্তা পাঠানো হচ্ছে। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরে এলে ইউক্রেনের জন্য 'ভিন্ন' নীতির আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।