ধর্ষণের একটি মামলায় পরাজিত হয়েছেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কের একটি আদালত তাকে আট কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা করেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ম্যানহাটান ফেডারেল আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। সাতজন পুরুষ এবং দুই নারী বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আদালত বেঞ্চ রায় ঘোষণার সময় বলেন, জরিমানার এই অর্থ মামলার বাদী মার্কিন লেখক ও সাংবাদিক ই. জেন ক্যারলকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি
রায় ঘোষণার সময় আদালত ভবনে ছিলেন ট্রাম্প। তবে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না। অবশ্য, নিজের দুই আইনজীবীর সঙ্গে এজলাসে হাজির ছিলেন ক্যারল। রায় ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ৭৯ বছরের ক্যারল বলেন, 'পৃথিবীতে যেসব নারী আঘাত পেয়ে পড়ে যাওয়ার পর ফের উঠে দাঁড়ায়, এই রায় তাদের সবার জন্য। আর যেসব উৎপীড়ক প্রতিনিয়ত নারীকে অত্যাচার করে, মিশিয়ে ফেলতে চায়, এই রায় তাদের জন্যও।'
প্রায় কাছাকাছি সময় নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিক্ততা প্রকাশ করে এক পোস্টে ৭৭ বছর বয়সি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং এখন একে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা আমেরিকার সংস্কৃতি নয়।'
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের এই মামলাটি হয়েছিল ২০১৯ সালে। ই. জেন ক্যারল নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের এক বিকালে ম্যানহাটানের ফ্যাশন হাউস বার্গডর্ফ গুডম্যান নিজের বন্ধুর জন্য পোশাক কিনতে গিয়েছিলেন জেন ক্যারল। পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার সঙ্গে ছিলেন। সে সময় ওই ফ্যাশন হাউসের ড্রেসিংরুমে ক্যারলকে ধর্ষণ করেন ট্রাম্প।
যথারীতি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন ট্রাম্প। পরে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন তিনি, যার রায় ঘোষিত হলো শুক্রবার। গত মঙ্গলবার মামলার সর্বশেষ শুনানি ছিল।
সেদিন সাক্ষ্য দিতে এসে জেন ক্যারল বলেছিলেন, তিনি নিজের জীবন ফিরে পেতে চান। বছরের পর বছর ধরে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।