বেলগোরোদ অঞ্চলে বিমান বিধ্বস্ত নিয়ে চলছে কথার লড়াই
রাশিয়ার তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালানো হয়। বৃহস্পতিবার কিয়েভের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ড্রোন হামলার পর রপ্তানিকেন্দ্রিক শোধনাগারটিতে আগুন ধরে যায়, যা সারা রাত জ্বলে। রুশ স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এরই মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তথ্যসূত্র : এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি
ইউক্রেনের সূত্রটি জানিয়েছে, এসবিইউ নিরাপত্তা সার্ভিস ড্রোন দিয়ে শোধনাগারে আঘাত হেনেছে এবং রুশ জ্বালানি সরবরাহকারী স্থাপনাগুলোতে এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের বহনকারী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এর সব আরোহী নিহত হন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ সামরিক বাহিনীর আইএল-৭৬ মডেলের একটি পরিবহণ বিমান মস্কো সময় বেলা ১১টার দিকে পশ্চিম বেলগোরোদ অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিসহ ৭৪ আরোহী ছিলেন। ইউক্রেনের সঙ্গে বিনিময়ের লক্ষ্যে এসব যুদ্ধবন্দিকে সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
রাশিয়া বলছে, এই ইউক্রেনীয় সেনাদের বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া চলছিল। ইউক্রেন ইচ্ছাকৃতভাবে উড়োজাহাজটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। একে ইউক্রেনের 'বর্বরোচিত সন্ত্রাসী তৎপরতা' আখ্যা দিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনীয় বন্দিদের জীবন নিয়ে খেলছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের ৬৫ যুদ্ধবন্দিকে বহনকারী রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর এই অভিযোগ করেন তিনি। ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে গত বুধবারের এই বিধ্বস্তের ঘটনার পর আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিও জানান তিনি। যদিও এর আগে ইউক্রেন দাবি করেছিল, তাদের হামলায় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু পরে যখন জানতে পারে, বিমানটিতে ইউক্রেনীয় সেনা ছিল, তখন তারা হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে। প্রথমে তাদের ধারণা হয়েছিল, বিমানটি এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করছিল। যে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে খারকিভে আগের দিন ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে।
এদিক, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, 'ইউক্রেনের নেতারা খুব ভালো করেই জানতেন, এদিন বেলগোরোদের বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি সেনাদের সামরিক পরিবহণ বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হবে বন্দি বিনিময়ের জন্য।