ইরাকে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী হামলা চালিয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ওপর হামলার জবাবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এসব কথা বলেন। ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন সেনাদের ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলার কয়েক দিনের মাথায় এ হামলা চালানো হলো। এর ফলে ইরাক ছাড়ার জন্য মার্কিন বাহিনীর ওপর চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর (পেন্টাগন) ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের ওই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে। এক বিবৃতিতে অস্টিন বলেন, ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী কেতায়েব হিজবুলস্নাহ এবং সংশ্লিষ্ট অন্য সংগঠনগুলোর ব্যবহৃত তিনটি অবকাঠামোতে মার্কিন বাহিনী অপরিহার্য ও যুক্তিসংগত হামলা চালিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলোর সেনাদের ওপর ইরানের মদদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর ধারাবাহিক হামলার জবাবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে এসব হামলা চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশ বলতে অস্টিন ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) মোকাবিলায় নিযুক্ত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটকে বুঝিয়েছেন। অস্টিন বলেছেন, তারা ওই অঞ্চলে সংঘাত বাড়তে দিতে চান না। তবে সেখানে বসবাসকারী মার্কিন জনগণ ও স্থানীয় স্থাপনাগুলোর সুরক্ষায় আরও বেশি পদক্ষেপ নিতে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, কেতায়েব হিজবুলস্নাহর সদর দপ্তর, গুদাম ও রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের সক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোন ধ্বংসের লক্ষ্য নিয়ে হামলাগুলো চালানো হয়েছে। পেন্টাগনের হিসাব অনুসারে, গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রবাহিনীর ওপর ১৫০টির বেশি হামলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশেই প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে বাগদাদে এমন একটি হামলায় ইরানপন্থি এক কমান্ডার নিহত হন। ওই হামলার ঘটনায় ইরাক সরকার ক্ষুব্ধ হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটকে ইরাক ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান।