ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যৌথভাবে একটি নতুন সিরিজ বিমান হামলা চালিয়েছে আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য। পেন্টাগন জানিয়েছে, সোমবারের হামলায় আটটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। যার মধ্যে আছে একটি ভূগর্ভস্থ স্টোরেজ সাইট এবং হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও নজরদারি সক্ষমতা স্থানও। অন্যদিকে, হুতি পরিচালিত 'আল-মাসিরাহ' টিভি ইয়েমেনের সানা, তাইজ ও বায়দা প্রদেশে হামলার খবর দিয়েছে, যার মধ্যে রাজধানীর কাছে অবস্থিত আল-দাইলামি বিমানঘাঁটিও রয়েছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
ইরান সমর্থিত হুতিরা লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট দিয়ে চলাচলকারী ইসরাইল ও পশ্চিমাদের পণ্য পরিবহণকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা 'মুক্ত বাণিজ্যের ধারা' সুরক্ষিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। একটি যৌথ বিবৃতিতে পেন্টাগন হুতিদের বিরুদ্ধে 'সংযোজিত ও প্রয়োজনীয় হামলা'র কথা নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'উত্তেজনা কমানো ও লোহিত সাগরে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে আমাদের লক্ষ্য অটুট আছে। কিন্তু হুতি নেতৃত্বের প্রতি সতর্কতা পুনর্ব্যক্ত করতে চাই; ক্রমাগত হুমকির মুখে থাকা বিশ্বের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথে জীবন ও বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষায় আমরা দ্বিধা করব না।'
এটা ইয়েমেনে হুতি লক্ষ্যবস্তুতে আমেরিকার অষ্টম হামলা। গত ১১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথ হামলা শুরুর পর দ্বিতীয় যৌথ অভিযান। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ হামলায় অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডসের সমর্থন রয়েছে।
সোমবারের হামলায় আমেরিকার 'ইউএসএস আইজেনআওয়ার' যুদ্ধজাহাজ বহরের যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের 'মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স' (এমওডি) জানিয়েছে, এক জোড়া ভয়েজ ট্যাংকারের সহায়তায় চারটি আরএএফ টাইফুন যুদ্ধবিমান মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয়। অভিযান পরিচালনাকারী স্থানগুলো থেকে লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক পণ্যপরিবহণে ধারাবাহিক ও অগ্রহণযোগ্য আক্রমণ হয়ে আসছে বলে জানিয়েছে এমওডি। বলা হয়েছে, 'যুক্তরাজ্যের স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিসের ধারা অব্যাহত রেখে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই হামলা পরিকল্পনা করা হয়, যেন বেসামরিক নাগরিক মৃতু্যর এড়ানো যায়। এই ধরনের ঝুঁকি এড়াতে আগের হামলাগুলোতে আমাদের বিমানগুলো রাতে বোমা নিক্ষেপ করে।'
ইউকে ডিফেন্স সেক্রেটারি গ্রান্ট শ্যাপস হুশিদের বিরুদ্ধে এই হামলাকে বাণিজ্য জাহাজগুলোতে 'অসহনীয় আক্রমণের' বিরুদ্ধে 'আত্ম-প্রতিরক্ষা' বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি 'এক্স'-এ লিখেছেন, 'হুতিদের সক্ষমতা কমানোর লক্ষ্যে নেওয়া এই পদক্ষেপ তাদের সীমিত মজুদ ও বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর হুমকির সক্ষমতায় আরেকটি বড় আঘাত।'