ওমান উপসাগরে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান। ওমানের বন্দর সোহারের কাছে মুখোশপরা একদল অস্ত্রধারী সেইন্ট নিকোলাস নামে ওই ট্যাংকারটির ওপর জোর করে উঠে আসে এবং অস্ত্রের মুখে ক্রুদের সেটি একটি ইরানি বন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
পরে ইরানি নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, গত বছর আমেরিকা কর্তৃক জাহাজ ও তেল বাজেয়াপ্ত করার প্রতিশোধ হিসেবে এই ট্যাংকারটি জব্দ করা হয়েছে। ইরাকের বন্দর বসরা
থেকে তেল নিয়ে তুরস্কে যাচ্ছিল
সেইন্ট নিকোলাস।
'ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্স'র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে খবর জানতে পেরেছে। যেখানে বলা হয়েছে, চার-পাঁচজন ব্যক্তি অবৈধভাবে সেইন্ট নিকোলাসে উঠে পড়েছে। তাদের পরনে সামরিক বাহিনীর মতো কালো পোশাক এবং কালো মুখোশ ছিল।
সেইন্ট নিকোলাসের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জানিয়ে তারা আরও বলেছে, বিষয়টি তদন্ত
করে দেখা হচ্ছে।
ট্যাংকারটিতে এক লাখ ৪৫ হাজার টন অপরিশোধিত তেল এবং ১৯ জন ক্রু ছিলেন। ক্রুদের ১৮ জন ফিলিপিনো ও একজন গ্রিসের নাগরিক।
গত বছর এপ্রিলে আমেরিকা সেইন্ট নিকোলাসকে জব্দ করেছিল। তখন সেটির নাম ছিল সুয়েজ রাজান। আমেরিকা সেটিকে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার অজুহাতে জব্দ করেছিল। পরে জাহাজটির মালিক পক্ষ ইরানের পক্ষে গোপনে তেল বিক্রি
এবং বিদেশে পরিবহণ করে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ষড়যন্ত্র করার দোষ
স্বীকার করে নেয়।
ইরানের এই জাহাজ জব্দ করার ঘটনাটি তাই ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার করার মতো বিষয় নয় বলেই মনে হচ্ছে। অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার একপাশে লোহিত সাগর এবং ঠিক বিপরীতে পাশে ওমান উপসাগর। তথ্যসূত্র : বিবিসি