শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১
গাজায় আগ্রাসন

ইসরাইলের হাত ১০ হাজারের বেশি শিশুর রক্তে রঞ্জিত

ম গাজায় উচ্চমাত্রায় অনাহারের কথা স্বীকার করল আমেরিকা
যাযাদি ডেস্ক
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ইসরাইলি হামলায় আহত এক ফিলিস্তিনি শিশু

ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় ১০০ দিনের আগ্রাসনে ১০ হাজারের বেশি শিশুর রক্তে রঞ্জিত হয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর হাত। গাজা উপত্যকার মোট শিশুর এক শতাংশই আগ্রাসনের বলি হয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের নতুন এক রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা

সেভ দ্য চিলড্রেনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ থেকে বেঁচে যাওয়া শিশুরা শারীরিক আঘাত, অগ্নিদগ্ধ, বিভিন্ন রোগ, অপর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা এবং তাদের বাবা-মা এবং অন্যান্য প্রিয়জনকে হারানোসহ নির্মম ভয়াবহতা সহ্য করছে। হাজার হাজার আহত শিশুর মধ্যে কমপক্ষে এক হাজার শিশু একটি বা দুই পা-ই হারিয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা জেসন লি বলেন, এগুলো কেবল সংখ্যা নয়। এই প্রতিটি সংখ্যাই এক একটি শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ইরেজ সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরাইল। তিন মাসের বেশি সময় ধরে গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। ফলে গাজার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এখানে সেখানে ভবনের ধ্বংসস্তূপ পড়ে থাকা গাজা যেন এক মৃতু্যপুরীতে পরিণত হয়েছে।

হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। আহত হয়েছে আরও ৫৯ হাজার ৬০৪ জন।

এদিকে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মুখোমুখি হয়েছে ইসরাইল। আগের দিন বৃহস্পতিবার শুনানিতে অংশ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছরের শেষ দিকে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও এর আগে ইসরাইলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা যে অভিযোগ এনেছে- তার কোনো ভিত্তি নেই এবং দেশটি হামাসের সুরে কথা বলছে। উলেস্নখ্য, ১৯৪৮ সালের কনভেনশনে একটি জাতি, জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশে সংঘটিত কর্মকান্ডকে গণহত্যা বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

গাজায় উচ্চমাত্রায় অনাহারের কথা স্বীকার আমেরিকার

ইসরাইলের বর্বরোচিত বিমান হামলায় বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, গাজার জনসংখ্যার বেশির ভাগই থাকছেন অনাহারে। এই পরিস্থিতিতে গাজায় উচ্চমাত্রায় অনাহারের কথা স্বীকার করে নিয়েছে আমেরিকা। দেশটি বলছে, ভূখন্ডটিতে সাহায্য আরও বাড়ানো দরকার।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, 'আমরা স্বীকার করছি, গাজায় সত্যিকারের খাদ্য নিরাপত্তার সমস্যা রয়েছে, ১০০ শতাংশ এবং সেই কারণেই মানবিক সহায়তার প্রধান উপাদান হিসেবে আমরা খাদ্য পাঠানোর চেষ্টা করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে