'রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন চলমান যুদ্ধ থামাবেন না, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা সবাই মিলে তাকে শেষ করছি। তবে আমরা প্রমাণ করেছি, রাশিয়াকে প্রতিহত করা সম্ভব।' এমন দাবি করেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার আকস্মিক সফরে ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়া সফরে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন জেলেনস্কি। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর
টানা প্রায় দুই বছর ধরে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলছে। এই যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসছে আমেরিকাসহ ইউরোপের অন্য মিত্ররা। তবে আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টি ও পশ্চিমা মিত্রদের অনেকে সেই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আপত্তি জানানোয় কিয়েভের সহায়তা তহবিলে টান পড়েছে। আর তাতেই সোচ্চার হয়ে উঠেছেন জেলেনস্কি। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সাহায্যের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বিধা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সাহসী করছে।
বুধবার জেলেনস্কি লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নওসেদারকে বলেন, ইউক্রেনকে অবশ্যই তার আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে হবে এবং তার গোলাবারুদের সরবরাহ পুনরায় পূরণ করতে হবে। কারণ ইউক্রেনে প্রায় দুই বছরের চলা এই যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।
জেলেনস্কি বলেন, 'আমরা প্রমাণ করেছি, রাশিয়াকে থামানো যেতে পারে, তাকে (দেশটিকে) প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে কখনো কখনো, ইউক্রেনকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তার বিষয়ে অংশীদারদের সিদ্ধান্তহীনতা শুধুমাত্র রাশিয়ার সাহস ও শক্তি আরও বাড়িয়ে দেয়।'
বুধবার আকস্মিক সফর চলাকালে লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নওসেদার সঙ্গে আলোচনা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সে সময় জেলেনস্কি সামরিক সহায়তা ও শুভেচ্ছার জন্য গিতানাসকে ধন্যবাদ জানান। আলোচনা শেষে জেলেনস্কি বলেন, সাহায্যের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বিধা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিনকে আরও সাহসী করে তুলছে। সেই সঙ্গে আরও শক্তিশালী আক্রমণ চালানোর সুযোগ পাচ্ছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও মলদোভা হতে পারে রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য।