ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার মাত্র আট দিন পর ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দেশটির মধ্যাঞ্চলে ছয় মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে এ ভূমিকম্পের পর কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি জাপান সাগরের উপকূলের দূরবর্তী স্থানে আঘাত হানে। গত ১ জানুয়ারির ভূমিকম্পের পর যেসব অঞ্চলের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে।
নতুন বছরের প্রথম দিনই সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্পটি জাপানের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে। এতে নোতো উপদ্বীপের অসংখ্য ঘরবাড়ি ধসে পড়ে। অনেক বাড়িতে আগুন ধরে যায়।
শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের যেসব ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে, সেগুলোর সবগুলোতে এখনো পৌঁছাতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। ধসে পড়ার সেসব অবকাঠামোর নিচে অনেক মানুষ আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরমধ্যেই আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানল দেশটিতে।
ভূমিকম্পে যে অঞ্চলটি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে এখন তুষারপাত হচ্ছে। তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকারীদের উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করছেন। প্রায় ৬০ হাজার বাড়ি পানি ও ১৫ হাজার ৬০০ বাড়ি বিদু্যৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
এদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনেও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মঙ্গলবার রাতের আঁধারে দেশটিতে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ছয় দশমিক সাত। অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ডিসেম্বরের শুরুতে টানা তিন দিন শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ফিলিপাইন। ওই তিনটি কম্পনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে রিখটার স্কেলে ছয় দশমিক আট, ছয় দশমিক চার এবং সাত দশমিক ছয়।
উলেস্নখ্য, ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। দেশটি ভূতাত্ত্বিকভাবে ভূমিকম্প সক্রিয় অঞ্চল 'প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারে' রয়েছে, যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বিস্তৃত।
সংবাদসূত্র : এএফপি