বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১

চীন-তাইওয়ান এক হবে, নতুন বছরে বার্তা জিনপিংয়ের

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
চীন-তাইওয়ান এক হবে, নতুন বছরে বার্তা জিনপিংয়ের

চীন ও তাইওয়ান এক হবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রোববার নতুন বছরের ভাষণে তিনি বলেন, মাতৃভূমি এক হবেই। চীন ও তাইওয়ানের ঐক্য সম্পন্ন হবে। আগামী ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে তাইওয়ান নিয়ে শি জিনিপিংয়ের এই মন্তব্য রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, ডিডাবিস্নউ নিউজ

তার এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, নতুন বছরে তাইওয়ানের ওপর চীন সামরিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে চাপ দিয়ে যাবে। শি জিনপিং এর আগে বলেছিলেন, দরকার হলে শক্তি ব্যবহার করে তাওইয়ানকে নিয়ে নেওয়া হবে। মাস কয়েক আগে তাইওয়ানের কাছে চীনের যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছিল। এখন তিনি বলেছেন, 'তাইওয়ান প্রণালির দুই পাশে থাকা স্বদেশবাসী নিঃসন্দেহে জাতীয় নবজীবনের গৌরব ভাগ করে নেবে।'

চীন মনে করে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ও ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির শীর্ষ নেতা লাই বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব নিয়েছেন এবং আক্রমণ করার জন্য চীনকে উসকানি দিচ্ছেন। তাইওয়ানের নেতাদের অভিযোগ, চীন তাদের দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে এবং ভুল তথ্য প্রচার করছে। এই অভিযোগ চীন অস্বীকার করেছে।

তবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন, 'নতুন বছরে চীনের অর্থনীতির বৃদ্ধি হবে'। পরিসংখ্যান বলছে, করোনার পর চীনে কর্মহীনতা বেড়েছে, চীন ঋণের সংকটে পড়েছে, ফলে অর্থনীতির ওপর চাপও বেড়েছে। কিন্তু শি জিনপিং বলেছেন, 'দেশের অর্থনীতি করোনার ঝড় সামলে নিয়েছে। ইলেকট্রিক গাড়ি, লিথিয়াম ব্যাটারি, সৌর প্যানেলের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক বুম দেখা দিয়েছে।' তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, 'সবাই এর লাভ পাচ্ছে না। কিছু মানুষ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়েছে। কিছু কোম্পানিও চাপের মধ্যে পড়েছে।' শি জিনপিং জানিয়েছেন, 'এ সবই আমাকে উদ্বেগে রেখেছে। আমাদের লক্ষ্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কিন্তু খুবই সরল। আমাদের মানুষের জীবনধারণের মান বাড়াতে হবে।' ২০২৩ সালে চীনের জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৫ শতাংশ। ২০১০ সাল ও তার পরবর্তী বছরগুলোর তুলনায় যা অনেকটাই কম। ২০২৪ সালেও একই ধরনের বৃদ্ধি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শি জিনপিং বলেন, '২০২৪ সালে আমরা ২০২৩-এর ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে এগোব। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করব ও দীর্ঘকালীন আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে এগোব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে