শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৩০ শতাংশ করোনা রোগীই উপসর্গহীন :গবেষণা

ম যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:৩৮
এক শিশুর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে -ফাইল ছবি

মহামারি করোনাভাইরাসের দাপটে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সবচেয়ে ক্ষতিকারক দিকটি হলো উপসর্গহীন রোগীরাও একই রকম ঝুঁকিতে আছে এবং এ রোগীরাই সবচেয়ে বেশি করোনা ছড়াচ্ছে। কারণ তারা নিজেরাই জানেন না যে, তাদের শরীরে করোনাভাইরাস বাসা বেঁধেছে। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, করোনা রোগীদের মধ্যে ৩০ শতাংশই উপসর্গহীন। ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই রোগ মারাত্মক রূপ নিচ্ছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, এএফপি দক্ষিণ কোরিয়ার জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি ইন্টারনাল মেডিসিনের মতে, উপসর্গহীন রোগীদের নাক, গলা এবং ফুসফুসে সবচেয়ে বেশি ভাইরাস বাসা বাঁধে এবং এরাও একইভাবে ভাইরাস ছড়াতে পারে। করোনাভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ যেমন- জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই দেখা যায়। এরপর শারীরিক ইমিউনিটির ওপর নির্ভর করে আরও মারাত্মক উপসর্গ শরীরে দেখা দেবে কি না। শরীরের বেশিরভাগ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে কোভিড-১৯। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের হাতে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তাদের দাবি, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও বহু রোগীর শরীরে থেকে যাচ্ছে করোনার উপসর্গ। একটি জরিপ চালিয়ে অক্সফোর্ডের গবেষকরা দেখেছেন যে, করোনার উপসর্গগুলোর মধ্যে শ্বাসকষ্ট, গায়ে ব্যথা, উৎকণ্ঠা এবং মানসিক অবসাদের মতো লক্ষণগুলো সুস্থ হওয়ার এক মাস পরও থেকে যাচ্ছে। কারও কারও ক্ষেত্রে তা আরও বেশি। করোনাজয়ীদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অক্সফোর্ডের গবেষকদের মতে, কোভিড-১৯ এর এখনো কোনো ওষুধ নেই। ফলে ভাইরাস শরীরে ঢুকলে তার সঙ্গে লড়াই করে শরীরের অ্যান্টিবডি। প্রথম লড়াইয়ে ভাইরাস দমে গেলেও নিঃশেষ হয় না। তখন হয়তো ভাইরাস ও অ্যান্টিবডি থেকে যায় পাশাপাশি। সমানে সমানে যতদিন থাকে সমস্যা হয় না। সমস্যা হয় তখন, যখন সময়ের সঙ্গে অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করে। আর সেসময় মাথাচাড়া দেয় ভাইরাসটি। অ্যান্টিবডির সঙ্গে লড়াই করতে করতে ভাইরাস নিজেকে পাল্টে ফেলে অর্থাৎ মিউটেট হয়ে যায়। আর যে ভাইরাসগুলো নিজেদের পাল্টাতে পারে না সেগুলো মরে যাওয়ায় তখনকার মতো হয়তো রোগ থেকে সেরে ওঠা যায়। কিন্তু পরিবর্তিত ভাইরাসগুলো আবার সময়ের সঙ্গে বংশবৃদ্ধি করে এবং রোগ হিসেবে ফিরে আসে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে