বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাগুরায় ড্রাগন চাষে ব্যাপক সাফল্য

ম এস আর এ হান্নান, মাগুরা
  ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

ফিরে তিন একর জায়গাজুড়ে ড্রাগন বাগান। গাছের সংখা ৬ হাজার। বাগান শুরু ২০১৮ সালে। পরের বছরই ড্রাগন ফল পেতে শুরু করেন। ২০১৯ সালে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি হয়। চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে ২৫ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি হয়ে গেছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগন চাষ করছেন মাগুরা সদর উপজেলার গাংনী গ্রামের কাজী ইজাজুল হক রিজু নামের এক ব্যক্তি। তিনি ওই গ্রামের কাজী নুরুল আলমের ছেলে। ২০১৮ সালে কাজী ইজাজুল হক রিজু ব্যবসায়িক কাজে চীন যান। সেখানে গিয়ে তিনি ড্রাগন বাগান দেখে আকৃষ্ট ও উদ্বুদ্ধ হন। দেশে ফিরে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারেন, নাটোর জেলায় ড্রাগন চাষ হয়। এরপর তিনি নাটোরের ড্রাগনচাষি গোলাম নবীর কাছ থেকে ৬ হাজার চারা কেনেন। প্রতিটি চারার দাম পড়ে ৪০ টাকা হিসেবে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এরপর রড, সিমেন্ট ও বালু দিয়ে ৭ ফুট উচ্চতার দেড় হাজার পিলার তৈরি করেন। প্রতিটি পিলারের গোড়ায় চারটি করে মোট দেড় হাজার পিলারের গোড়ায় ৬ হাজার চারা ১ রোপণ করেন। প্রতিটি পিলার তৈরিতে ব্যয় হয় ৫০০ টাকা। লোহার রিং, পুরনো টায়ার, জমি প্রস্তুত, শ্রমিক খরচসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় হয় ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতিদিন ড্রাগন বাগানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করেন। ২০১৯ সালে মোট খরচের টাকা বাদে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাভ থাকে। চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে ২৫ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি হয়ে গেছে। মৌসুমের শুরু থেকে ফল পাওয়া পর্যন্ত নিবিড় পরিচর্যা, সার-কীটনাশক ও শ্রমিক খরচসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় হয়ে যায় প্রায় অর্ধেক টাকা। ওই হিসাব অনুযায়ী চলতি মৌসুমে লাভের অঙ্ক ১২ লক্ষাধিক টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। মাগুরা, নড়াইল, খুলনা, ফরিদপুর, যশোর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা বাগানে এসে ড্রাগন ফল কিনে নিয়ে যান। শ্রেণিভেদে প্রতি কেজি ফল বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। ২০১৮ সালে ৪ একরে মাল্টা বাগান করেছেন। যেখানে ৬৫০টি মাল্টা গাছ রয়েছে। মাল্টাচারা কেনেন পিরোজপুর জেলা থেকে। চলতি বছরের এপ্রিলে বরই বাগান করেছেন। এখানে ৫ একর জমিতে বরই বাগান গড়ে তুলেছেন। যেখানে এক হাজার ২৫০টি ফলবান গাছ রয়েছে। এক একরে করেছেন সৌদি খেজুর বাগান। আগামী বছর খেজুর ধরবে বলে জানান বাগান পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ফল বিক্রয়কারী কাজী মহিদুল হক। তার বড় ভাই কাজী ইজাজুল হক রিজুর উদ্যোগে ও অর্থায়নে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে তুললেও মূলত ছোট ভাই কাজী মহিদুল হকের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে কাজী মহিদুল হক বলেন, ১০ একর জমিতে এসব বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। ফলের আশানুরূপ ফলন এবং মৌসুম শেষে লভ্যাংশে খুশি তার পরিবার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে