বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর চারঘাটে মৌ-চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

ম নজরুল ইসলাম বাচ্চু, চারঘাট (রাজশাহী)
  ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
খামার থেকে মধু সংগ্রহ করছেন এক চাষি -যাযাদি

রাজশাহীর চারঘাটে বাণিজ্যিকভাবে হচ্ছে মৌ-চাষ। উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের ফকিরপাড়া, শলুয়ার বালাদিয়ার ও ইউসুফপুরের সাহাপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক নিজ উদ্যোগে এ মৌ-চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় স্থানীয় তরুণরাও মৌচাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।

ভৌগোলিক আবওহাওয়া অনুকূলের জন্য পদ্মা ও বড়াল নদী বিধৌত এ উপজেলার মাটি খুবই উর্বর। যে কারণে এখানকার জমি বিভিন্ন ফলজসহ সব ধরনের সবজি আবাদের জন্য উপযোগী। মূলত লিচু, ভুট্টা, সরিষা, ধনিয়া ও কালিজিরা ফুল হতে উৎকৃষ্টমানের মধু তৈরি হয়। মৌমাছি এই সব গাছপালার মিষ্টি ফুলের রস ও পরাগরেণু সংগ্রহ করে। এদের সংগৃহিত পরাগরেণু দিয়ে বাচ্চা মৌমাছিদের খাওয়ানো হয়। ফুলের রস দিয়ে মৌমাছিরা মধু তৈরি করে মধুঘরের চাকে জমা করে।

স্থানীয় ভুট্টা চাষি আশা জানান, লিচু বাগানে ফুল আসার সময় মৌমাছিদের মধু সংগ্রহের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল উৎপাদন

হয়। মধু চাষিদের পাশাপাশি তাদের মতো ফলবাগান চাষিরাও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়ায় হামেদের আম বাগানে প্রায় ৩শ' বক্সে মৌচাষ করছেন স্থানীয় মমিন, নারায়ণ মন্ডল, হৃদয় মন্ডল, রুবেল, আলিম। প্রতিটি বক্সে ৫টি করে মৌচাক রয়েছে এবং প্রতিটি বক্স থেকে সপ্তাহে প্রায় ৩ থেকে ৫ কেজি মধু উৎপাদন হয়।

প্রতি কেজি লিচু মধু ৫শ' টাকা, সরিষা মধু ৩শ' ৫০ টাকা ও ধনে/কালিজিরা মধু ৬শ' টাকা দরে পাইকারি বিক্রয় হয় বলে জানান স্থানীয় মৌচাষিরা। মৌচাষি মমিন বলেন, নাটোরের তমাল তলার মনিরের কাছ থেকে তারা রানী মৌমাছি সংগ্রহ করেন। উৎপাদিত মধুগুলো ২১ থেকে সাড়ে ২২ গ্রেডের হওয়ায় স্থানীয়ভাবে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন নাহার বলেন, বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করে মৌচাষিদের পরার্মশ দেন তারা। মৌচাষের ফলে মৌমাছি কৃষি জমিতে পরাগায়নে সহায়তা করায় জমিতে ফসল উৎপাদন বেশি হয়। এতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ফসল উৎপাদনের ফলে কৃষক যেমন লাভবান হবে তেমনি উৎকৃষ্ট মধু উৎপাদন করে মৌচাষিরাও লাভবান হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে