শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৯৯৯-এ ফোন বিকল লঞ্চ থেকে তিন শতাধিক যাত্রী উদ্ধার

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে নদীতে বিকল হয়ে পড়া লঞ্চ থেকে তিন শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে মেঘনার তেঁতুলিয়ায় বিকল হয়ে আটকে পড়া লঞ্চ থেকে এই ফোন কলটি করা হয়।

৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, বুধবার সকাল পৌনে ৯টায় লিমা নামের একজন নারী ফোন করেন। এ সময় তিনি পারাবত ১২ নামক লঞ্চের যাত্রী এবং ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে মধ্যরাতে লঞ্চটি বিকল হয় বলে জানান। রাত ২টার দিকে লঞ্চের সব যাত্রীর একটি চরে নামিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই থেকে তারা চরে অবস্থান করছেন। এখন পর্যন্ত লঞ্চটি ঠিক হয়নি বা তাদের নেওয়ার জন্য বিকল্প কোনো লঞ্চের ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ করেন।

কলার লিমা আরও জানান, তার আট মাস বয়সি শিশু সন্তান নিয়ে ঠান্ডা আবহাওয়ায় রাত ২টা থেকে নির্ঘুম চরে

অবস্থান করায় তিনিসহ বেশ কিছু যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। লঞ্চে অনেক মহিলা ও শিশু যাত্রীও রয়েছে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় চরে আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে ভীতি ও আশংকার সৃষ্টি হয়। কোনো উপায় না দেখে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করেন এবং তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

৯৯৯ তাৎক্ষণিক কলারের সঙ্গে প্রথমে নৌ-পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে কথা বলিয়ে দেয়। কলারের বর্ণনা অনুযায়ী তাদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয় মেঘনা নদীর শাখা তেকুলিয়ার বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জেও আলিগঞ্জ এলাকায়। ৯৯৯ তাৎক্ষণিক মেহেন্দীগঞ্জ থানা ও কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়িকে সংবাদটি জানিয়ে লঞ্চটি দ্রম্নত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়। খবর পেয়ে মেহেন্দীগঞ্জ থানা ও কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থলে রওনা দেয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় মেহেন্দীগঞ্জ থানার এসআই শাহজালাল এবং কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শাখাওয়াত ৯৯৯-কে জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে একটি লঞ্চ আনার ব্যবস্থা করেন। পরে বরিশাল থেকে আসা উদ্ধারকারী সুন্দরবন ১১ লঞ্চে আটকে পড়া সব যাত্রীদের তুলে দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে