বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ আসামির মৃতু্যদন্ড

ম শরীয়তপুর প্রতিনিধি
  ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃতু্যদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক আ. ছালাম খান বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে এ আদেশ দেন। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মধ্য কোদালপুর গ্রামের মৃত লুৎফুল খবিরের ছেলে মো. মোর্শেদ উকিল (৫৬), ডামুড্যা উপজেলার চর ঘরোয়া গ্রামের মৃত খোরশেদ মুতাইতের ছেলে আব্দুল হক মুতাইত (৪২) ও দাইমী চর ভয়রা গ্রামের মৃত মজিদ মুতাইতের ছেলে মো. জাকির হোসেন মুতাইত (৩৩)। রায় ঘোষণার পর অভিযুক্তদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একই মামলার অপর ৯ আসামি দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ জানান, ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ডামুড্যা উপজেলার চরভয়রা উকিলপাড়া গ্রামের খোকন উকিলের স্ত্রী ৪

হাওয়া বেগম (৪০) পাশের বাড়ি মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে আর ঘরে ফেরেননি। ওই রাতে মোর্শেদ, আব্দুল হক ও জাকির একা পেয়ে হাওয়া বেগমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর ওই গ্রামের মজিবর চোকদারের দোচালা টিনের ঘরে ফেলে যায়। পরের দিন ২১ জানুয়ারি সকালে পুলিশ নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতপালে পাঠায়। পরে ওইদিন হাওয়া বেগমের স্বামী খোকন উকিল বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর পর্যায়ক্রমে পুলিশ আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে। মোর্শেদ, আব্দুল হক ও জাকির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ডামুড্যা থানার পুলিশ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ৯ জনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল আউয়ালসহ অন্য আইনজীবীরা জানান, তারা রায়ে সন্তুষ্ট নন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে