চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন একদম সোনায় সোহাগা হয়েছে বাংলাদেশ দলের জন্য। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দারুণ জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সাবলীল ছিলেন দুই টাইগার ওপেনার সাদমান ইসলাম এবং এনামুল হক বিজয়। বহুদিন পর ওপেনিংয়ে যেন এমন প্রাণবন্ত ব্যাটিংয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।
প্রায় ৩ বছর পর টেস্ট খেলতে নামা বিজয় ভালোই ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছিল। কার্যকরী ব্যাটিংয়ে এগিয়েছে সাদমান-বিজয়ের জুটি। ১২ ইনিংস পর ওপেনিং জুটিতে ১০০ ছুঁয়েছে ছিল টাইগারদের। মধ্যাহ্ন বিরতির পর বিজয়কে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মুজারাবানি। ৮০ বলে ৪ চারে ৩৯ রান করে আউট হন বিজয়।
বিজয় বিদায় নিলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন সাদমান। ২২ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছেন সাদমান। সে পথ ধেরে মঙ্গলবার এ ব্যাটার হাফসেঞ্চুরি করেন ৮০ বল খেলে ৭ চারে। সে সময় এনামুল হকের সঙ্গে তিনি জুটিতে রান তোলেন ১০০। এর কিছুক্ষণ পরেই তিন বছর পর টেস্ট দলে ফেরা এনামুল আউট হন ৩৯ রান করে। মুজারাবানির বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন তিনি। এনামুল রিভিউ নিয়েছিলেন। অফ স্টাম্পের একটু বাইরে ব্যাক অফ লেন্থে পিচ করে ভেতরে ঢোকা বল। ভুল লাইনে ব্যাট চালিয়েছেন এনামুল। বল তার পেছনের পায়ে লাগে। তাই আম্পায়ারের কলই বহাল রাখেন থার্ড আম্পায়ার।
এনামুল ফিরলেও ব্যাট হাতে দারুণ খেলছেন সাদমান। সেঞ্চুরি পেতে তিনি খেলেন ১৪২ বল। এই সময়ে সাদমানের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬টি চার। টেস্টে কোনো ইনিংসে যা তার সর্বোচ্চ। এর আগে কোনো ইনিংসে ১২টির বেশি চার মারতে পারেননি তিনি। এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০২১ সালের জুলাইয়ে হারারেতে করেছিলেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন সাদমান।
প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত ৪৬ ওভার বাংলাদেশ রান তুলেছে ১৫৬, ১ উইকেটের বিনিময়ে। লিড নিতে এখনও আরও ৭১ রান চাই দলের।
যাযাদি/ এসএম