সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংস শেষে ৩০০ রানের লিড নেয়ার আশায় ছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ দিনে মাত্র ২৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। তাতে প্রথম টেস্ট জিততে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ১৭৪ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনেই ইতিহাস গড়ে ৩ উইকেটের জয় পায় জিম্বাবুয়ে।
সবশেষ ২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছিল জিম্বাবুয়ে, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই। পরের তিন দেখায় তিনটিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ। প্রায় চার বছর পর টেস্টে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়ে সাড়ে ৬ বছরের জয়খরা কাটাল রোডেশিয়ানরা, সেই সিলেটের মাটিতেই। শান্তদের হারিয়ে একটি রেকর্ডও গড়েছে জিম্বাবুয়ে। তাদের সবচেয়ে বেশি রানতাড়া করে টেস্টে জয় এটি, এর আগে ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬২ রান করে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিয়ে রান তাড়ায় নেমে সফরকারীদের ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন। উদ্বোধনী জুটিতে ৯৫ রান তোলেন দুজনে। বেন কারেন ৪৪ রানে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। এরপর নিক ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামস ফিরে যান আলো ছড়ানোর আগেই। দলীয় ১২৮ রানে ব্রায়ান বেনেট ফিরে যান ৫৪ রান করে।
পরে আরও তিন ব্যাটারকে হারায় জিম্বাবুয়ে। ক্রেইগ আরভিন ১০ রান এবং মায়াভো ১ রান এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১২ রান করে ফিরে যান। রিচার্ড এনগারাভাকে নিয়ে রোডেশিয়ানদের জয়ের বন্দরে পৌঁছান ওয়েসলি মাধেভেরে। মাধেভেরে ১৯ রানে এবং এনগারাভা ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে মিরাজ ৫টি এবং তাইজুল ২টি উইকেট নেন।
এর আগে ৪ উইকেটে হারিয়ে ১৯৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামে টাইগাররা, শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই, ৬০ রান করা শান্ত মুজারাবানির পেসে কাটা পড়েন। এরপর জাকের আলির সঙ্গী হন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মিরাজও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
মাত্র ১১ রান করে মুজারাবানির পঞ্চম শিকারে পরিণত হয়ে কাটা পড়েন এই অলরাউন্ডার। ফলে ২১০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জাকের আলী অনিক একাই লড়াই চালিয়ে যান। শেষ উইকেটে সঙ্গীহীন জাকের দ্রুত রান করার চেষ্টা করতে গিয়ে ৫৮ রান করে ফিরলে ২৫৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। মুজারাবানি একাই নেন ৬ উইকেট।
এর আগে, স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে করা ১৯১ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে করেছিল ২৭৩ রান। এদিকে বাংলাদেশকে হারিয়ে চার বছর পর ক্রিকেটের মর্যাদাকর ফরম্যাটে জয়ের স্বাদ পেলো ক্রেইগ আরভিনের দল।