দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। তবে এক যুগেও টুর্নামেন্টের মান সেভাবে উন্নত হয়নি। বরং প্রতি আসরেই নানা বিতর্ক আর সমালোচনায় জেরবার হয় আসরটির। এবার অবশ্য বিপিএল নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে বিপিএলের ১১তম আসর।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে এসেছে নতুন নেতৃত্ব। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন ওতপ্রোতভাবে। তার মডেলেই আয়োজিত হয়েছিল এবারের অলিম্পিক। সেই তিনি আসন্ন বিপিএলের সঙ্গেও থাকছেন। পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শুরু থেকেই টুর্নামেন্টের মান উন্নয়নে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করছেন।
সবকিছু নিয়ে রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিসিবির সভা। বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে সেখানে বোর্ড কর্তারা ছাড়াও ছিলেন বিপিএলের অংশীজন, বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান ও সম্প্রচারকারী চ্যানেলের প্রতিনিধিরা। সভা শেষে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানান, এবারের আসরকে ভিন্নমাত্রায় নেওয়ার একটা চেষ্টা হচ্ছে।
নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘এবারের বিপিএলকে একটু ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টা আছে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেই এর সঙ্গে জড়িত হয়েছেন যা আমাদের জন্য দারুণ সুখবর। ক্রীড়া উপদেষ্টা খুব ঘনিষ্ঠভাবে বিপিএলের সঙ্গে আছেন। সেই কারণে বিপিএলের শক্তি বেড়েছে। সত্যি বলতে, আমাদের দেশে তেমন একটা উপলক্ষ আসে না যা নিয়ে সবাই একসঙ্গে মেতে থাকি। বিপিএল সেই উপলক্ষটা আনে। বিপিএলের শক্তিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সারাদেশে খেলার শক্তিকে কীভাবে ছড়িয়ে দিতে পারি সেই নির্দেশনা এসেছে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে।’
যাযাদি/ এসএম