বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলা। শুক্রবার (৫ জুলাই) গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান খেলছিলেন আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে। বিকাল ৩ টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে খেলতে খেলতেই ৫টা ৫২ মিনিটে লুটিয়ে পড়েন জিয়াউর। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান তিনি।

জিয়া লুটিয়ে পড়লে তার প্রতিপক্ষসহ আরও অনেকেই এগিয়ে এসে তাকে তুলে ধরেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দাবা ফেডারেশন থেকে হাসপাতালে পৌঁছাতে ৯ মিনিট সময় লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা দ্রুতই তার চিকিৎসা শুরু করেন।

দাবা ফেডারেশনের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্ত চিকিৎসকরা তার পালস খুঁজে পাননি। পরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা গেছেন জিয়া। ১৯৭৪ সালের ১ মে জন্ম নেওয়া এই গ্র্যান্ডমাস্টারের মৃত্যুসনদ চিকিৎসকরা দিয়েছেন ৭টা ২০ মিনিটের দিকে।

হাসপাতালে পৌঁছানোর পরই জিয়ার স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। চিকিৎসকদের কাছ থেকে মৃত্যুসনদ পাওয়ার পর কান্নার সেই বেগ আরও বাড়ে। কারও সান্ত্বনাই থামাতে পারছিল না তার সেই কান্না।

জার্মানির যে আইন খেলতে দিচ্ছে না লেমিন ইয়ামালকে

শুধু জিয়ার স্ত্রীই নন, এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার সহখেলোয়াড়দের অনেকেই। জিয়ার অকালমৃত্যুতে দাবাসহ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

যাযাদি/ এসএম