অবশেষে রিয়া মনিকে নিয়ে লাইভে আসলেন হিরো আলমের পঞ্চম স্ত্রী
প্রকাশ | ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩২

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম সম্প্রতি তার স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দিয়েছেন।
রোববার রাতে চতুর্থ স্ত্রী রিয়া মনি হিরো আলমের পঞ্চম স্ত্রীকে নিয়ে লাইভে আসেন। তার নাম মিথিলা। তিনি একজন ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন।
মিথিলা লাইভে এসে বলেন, হিরো আলম আমাকে এক বছর আগে বিয়ে করেছেন। আমি তার গ্রামের বাড়িতে তার ছেলে-মেয়ের সঙ্গে থাকি।
তিনি বলেন, আলমের বাবার চিকিৎসার জন্য ঢাকাই এসে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে আমি ছিলাম। আমার কাছে তার সঙ্গে বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ আছে।
এর আগে রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দেন রিয়ামনি। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘হিরো আলমের পঞ্চম বউকে নিয়ে আজ রাত ৮টায় রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালের পাশে উঠান রেস্টুরেন্টের রুফটপে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সাংবাদিক ভাইবোনেরা আমন্ত্রিত।’
তবে হিরো আলম পাঁচটি বিয়ে করেছেন এমন তথ্য কখনো পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য বলছে, রিয়া মনিসহ তিনটি বিয়ে করেছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, রিয়ার পর আরও একটি বিয়ে করেছেন হিরো। এমনটি হলে এটি হবে বগুড়ার সাবেক ডিশ ব্যবসায়ী হিরো আলমের চতুর্থ বিয়ে।
এর আগে শনিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জামালপুর মিয়া শিশুমেলা পার্কে সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, ‘আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়, অথচ আমার স্ত্রী রিয়া মনি বাবার কাছে না এসে ম্যাক্স রাজুর সঙ্গে ড্যান্স ভিডিও বানায়। এই মেয়েকে নিয়ে কি সংসার করা যায়?
তাই আমি রিয়া মনিকে তালাক দিয়েছি। এই রিয়া মনির কারণে আমার সংসার, যে মেয়ে আমার বাবার দেখাশোনা করেছে-সেই মিতির সংসার ও মাক্স রাজুর স্ত্রী ইতির সংসার ভেঙে গেছে।’
একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়া মনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে কারণেই মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দেন। পরে রিয়া মনিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু কাজ করেছেন হিরো আলম।
এর আগে ২০১০ সালে সাদিয়া বেগম সুমির সঙ্গে বিয়ে হয় হিরো আলমের। সেই সংসারে আলো ও আঁখি নামে দুই মেয়ে ও আবির নামে এক ছেলেসন্তান রয়েছে। ২০১৫ সালের দিকে কমেডিয়ান হিসেবে ফেসবুকে ডেব্যু হয় হিরো আলমের।
২০১৯ সালের ৬ মার্চ যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হন হিরো আলম। পরে ৭ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সুমিকে মারধরের অভিযোগে ৬ মার্চ বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন তার (হিরো আলম) শ্বশুর সাইফুল ইসলাম।
ওই বছরের ১৯ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান হিরো আলম। ১০ হাজার টাকা বন্ডের বিপরীতে তার জামিন মঞ্জুর করেন বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার। তবে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছড়ির হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হিরো আলম রিয়ামনি