দেশের কোথাও প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি পালিত না হলেও একমাত্র বরগুনাতেই নিয়মিত পালিত হয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি।
চলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হটানোর লিফলেট আর ঈদ উপহার বিতরণ।
ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে কয়েকশ লোকের মিছিল হয়েছে সেখানে।
গত বছরের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যায়।
এরপর থেকে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারে নাই। এমনকি হাসিনার নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জেও দলটি প্রকাশ্যে মিছিল মিটিং করতে গিয়ে জনরোষে পড়েছে।
কিন্ত বেশ কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ বেশ কিছু জায়গায় দলটি ঝটিকা মিছিল করছে।
স্থানীয় অনেকের মতে, নেতৃত্বের ধারাবাহিক ব্যর্থতা আর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলতে গিয়েই এখানে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পারছে না বিএনপি।
যে কারণে সদর আসনে কখনোই জিততে পারেনি ধানের শীষ।
অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিএনপির স্থানীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের মামলা-হামলার কারণে এমন অবস্থা হলেও বিএনপি এখন অনেক শক্তিশালী বলে দাবি তাদের।
হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে প্রথম মিছিল, ৫ আগস্টের পর হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে গোপালগঞ্জেরও আগে বরগুনায় প্রথম প্রকাশ্যে মিছিল করে জেলা আওয়ামী লীগ।
গত বছরের ৮ আগস্ট জেলা শহরে অনুষ্ঠিত ওই মিছিলে অংশ নেন কয়েকশ নেতাকর্মী। পরে শেরেবাংলা সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন তারা।
মিছিল-সমাবেশের পুরোটা সময় কেবল পুলিশ নয়, বিএনপি নেতাকর্মীরাও যেন ছিলেন দর্শক। এখনো সেখানে চলছে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি।
১২ আগস্ট রাতে ভারত থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন শেখ হাসিনা।