‘‌বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রথম স্লোগান দিয়েছেন শহীদ জিয়া’

প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৫৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি-যায়যায়দিন

সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে এজন্যই দেশি-বিদেশী চক্রান্তে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছিল। স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে লালন করে ২৪ এর ফ্যাসিস্ট বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্পিরিট করে ধারণ করে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি গৃহীত তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ'র সভাপতিত্বে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় সামনে বিজয় মঞ্চে অনুষ্ঠিত সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী আরও বলেন, সমাজে সকল মানুষের সম অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিকল্প নেই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রথম শ্লোগান দিয়েছেন শহীদ জিয়া।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, বিগত ষোল বছর শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে ৭১ এর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ন্যায় দেশকে আবারও মেধা শূন্য করার চেষ্টা করেছিল পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করে দেশে গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সভায় আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব বর্ষীয়ান সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. খুরশীদ জামিল, ইউনাইটেড লয়ার্স ফ্রন্টের সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক ছাত্রনেতা নাজিমুর রহমান। সভা সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল।

যাযাদি/ এস