বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একটি বিদেশি শক্তির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই হামলায় বিএনপির কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না। বরং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফাঁসানোর জন্য এটি করা হয়েছিল।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে “বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আজ বিজয়ের প্রথম দিনে একটি সুখবর আছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো মামলার রায়ে তিনি খালাস পেয়েছেন। আদালত প্রকাশ করেছেন, তিনি দায়ী ছিলেন না।”
মির্জা আব্বাস বলেন, “গত কয়েক বছরে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলা ও অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু আল্লাহতায়ালা তাকে রক্ষা করেছেন এবং খালাস দিয়েছেন। আমরা আশা করি, তিনি শীঘ্রই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।”
তিনি ২০০৭ সালের সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমানের ওপর চালানো নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “তাকে গ্রেপ্তার করে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছিল। চরম অসুস্থ অবস্থায় তাকে কারাগারে ফেরত আনা হয়েছিল। তবে এখন আল্লাহর রহমতে তিনি বিদেশে মোটামুটি সুস্থ আছেন, যদিও পুরোপুরি সুস্থ হননি।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এই সত্য কখনো মুছে ফেলা যাবে না। বিএনপি ১৫ বছর ধরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। আমরা স্বাধীন সংবাদমাধ্যম চাই, কিন্তু অপসাংবাদিকতা চাই না।”
মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, “বিদেশি শক্তি ও সরকারের কিছু অংশ মিলে বিএনপিকে দমন করার ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিদেশি শক্তি আমাদের সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয় দলের নেতা সৈয়দ এহসানুল হুদা, এবং ঢাকা মহানগরের আরিফা সুলতানা রুমা।
সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর নেতৃত্বে এই অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, তারেক রহমানের খালাস দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
যাযাদি/ এস