বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সাড়ে ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী দুশাসন লুট-হরিলুটের সংস্কৃতি মাফিয়ালীগ তৈরি করেছিল হাসিনা। মাফিয়ালীগের পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশে যেন আর না হয়।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপি অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে হামলায় আহত আওয়ামীলীগ কর্মী উজ্জ্বল কুমার মন্ডলের বাড়ি যান। সেখানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির এ নেতা।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, একজন ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আঘাত করা বেআইনি কাজ। এটা সন্ত্রাসী কার্যকালাপ বিএনপি তো সেই দল করে না। সারা বাংলাদেশে বিএনপির নামে, বিএনপির নামধারী ব্যক্তিরা এসব কাজ করছে। এসব কাজের জন্য ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কারো কারো পদ থেকে শোকজ ও অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর স্থান হবে না। তাই বড়াইগ্রামের ঘটনার সাথে যদি নেতা-কর্মীরা জড়িত থাকে তাহলে দলীয় শাস্তি হিসেবে বহিষ্কার করা হবে। আর পুলিশকে বলা হয়েছে, ঘটনার ফুটেজ দেখে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। দলীয় পরিচয় যাই থাকুক কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। গণতন্ত্র মানেই পরস্পর সহানুভূতি ও শুভেচ্ছা বোধ। একে অপরের বিরোধ থাকতে পারে, তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকার থাকতে হবে। সেজন্য বিএনপি দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়।
যুগ্ম মহাসচিব রিভজি বলেন, শেখ হাসিনা বিগত সাড়ে ১৫ বছর তার ফ্যাসিবাদী দুশাসন লুট-হরিলুটের সংস্কৃতি একটি মাফিয়ালীগ তৈরি করেছিল। সেই মাফিয়ালীগের পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশে যেন আর না হয়। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী সংগঠনবিরোধী কোনো কার্যকালাপ, সভ্যতা ও সুরুচির বাহিরে যেন কাজ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা যেন সেই শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদের আচরণের পুনরায়বৃত্তি না ঘটে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, দেশরতœ বেগম খালেদা জিয়াকে দেশ থেকে কখনো বিতারিত করা যায়নি। তিনি বার বার বলেছেন আমার ঠিকানা বাংলাদেশ মাটি। শেখ হাসিনা কত চেষ্টা করেছেন কিন্তু তারা পারেনি। তারা নানা ভাবে তাকে শারীরিক, মানুসিক ভাবে অত্যাচার, নির্যাতন আরোপ করা হয়েছিল।
রিজভি বলেন, তারেক রহমানের ওপর মিথ্যা মামলা, কুরুচিপূর্ণ অসত্য কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। পরবর্তীতে তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির নামে এবং বিএনপির কোনো নেতাকর্মীরা দেশের কোথায় চাঁদাবাজি, দখল, কাউকে আটক করেছে সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, দেশটা যখন ধীরে ধীরে নতুন ভাবে গড়ে উঠার প্রক্রিয়া হচ্ছে। এবং গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়েছে। যে এ গণতন্ত্রের যাত্রাকে যেন কেউ ব্যবহুত করতে না পারে। এটাই হচ্ছে বিএনপির লক্ষ্য এ্ং অঙ্গীকার।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মামুন আহমেদ সুমন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/ এম