ঢাকার সূত্রাপুরে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী জাগরণ যাত্রা ও সমাবেশ করল সিপিবি
প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:১১
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সূত্রাপুর থানা কমিটি শুক্রবার ঢাকার ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্কে শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী জাগরণ যাত্রা ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন থানা কমিটির সভাপতি বিকাশ সাহা। সূত্রাপুর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বী খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কমরেড অধ্যাপক এম এম আকাশ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড জাহিদ হোসেন খান, কমরেড হামিদুর রহমান ইকবাল, সাবেক ছাত্রনেতা কমরেড দীপক শীল, প্রিজম ফকির প্রমুখ।
সমাবেশে অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক, শোষণ-বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ। কিন্তু অর্ধশতাব্দীর ওপর দেশ শাসন করেছে সাম্রাজ্যবাদের দোসররা, তাই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এখনও নির্মাণ করা যায়নি। সমাজে শোষণ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। লুটেরা বুর্জোয়া শ্রেণী সমাজে সংকট এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, যাতে সংকট আরো ঘণীভূত হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী অপশক্তি নানান নামে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কমিউনিস্ট -বামপন্থীরা এ চক্রান্ত প্রতিরোধ করবে।
অধ্যাপক আকাশ আরও বলেন, বাঙালি মাত্রই অসাম্প্রদায়িক। ধর্মের রাজনীতি করে জামাত- হেফাজত। এরা ধর্মের নামে বিভেদ করতে চায়। দেশটাকে আফগানিস্তান পাকিস্তান করতে চায়। এটি হতে দেয়া যাবে না। কেননা, এতে মানুষের মুক্তি আসবে না এবং তা প্রমাণিত সত্য। তাই এদের রুখে দিতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শোষণ-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
জাহিদ হোসেন খান বলেন, দ্রব্যমূল্যের নজিরবিহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস চরমে উঠেছে। দেশের অর্থনীতি নাজুক কিন্তু উত্তরণে কোনো দৃশ্যমানতা নেই। সাধারণ খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষ আজ দিশেহারা। অবিলম্বে দুষ্টুচক্রের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে, এর হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দেশজুড়ে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিকাশ সাহা বলেন, 'আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন করেছে। ভোটের অধিকারের জন্য আমরা লড়াই করছি। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।'
বক্তারা বলেন, দেশ থেকে আওয়ামী আমলে গত ১৬ বছরসহ যত টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে তা ফিরিয়ে আনতে হবে। জনগণের টাকা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে। পাচারকারীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। যারা দেশটাকে লুটপাট করেছে, তাদের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে।
যাযাদি/এসএস